পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কামরূপ বা ভস্মাচল দর্শন যাত্রা 8 a শর উপহার পাইয়াছেন, তাহারই প্রভাবে স্ত্রীপুরুষদিগকে ক্রীড়ার পুত্তলের ন্যায় কামাতুর করিতে সক্ষম হন, এমন কি দেবদেবীরা পৰ্য্যন্ত র্তাহার নিকট সতত পরাস্ত, এই কারণে কামদেব একদা দেবকাৰ্য্যসাধনের নিমিত্ত দপসহকারে মহাদেবের ধ্যান ভঙ্গ করিতে যাইয়া ভগবান ত্ৰিলোচনের রোষাগ্নিতে এই স্থানে তিনি ভস্মীভূত হন । এই নিমিত্ত এই পৰ্ব্বতের নাম ভস্মাচল হইয়াছে, আবার শেষ যে স্থানে তিনি স্বরূপত্বলাভ করিয়াছিলেন, সেই স্থান কামরূপ নামে খ্যাতিলাভ করিয়াছে । কামরূপ পাহাড়টী উমানন্দ নামক স্বয়ন্থ “লিঙ্গরাজ”কে মস্তকে স্থাপিত করিয়া ব্ৰহ্মপুত্ৰ নামক নদের উপরিভাগে স্থিরভাবে দণ্ডায়মান থাকিয়া ভগবানের মহিমা ঘোষণা করিতেছে। এই উমানন্দ ভৈরবনাথকে দর্শন করিতে যাইতে হইলে নৌকা বা ডোঙ্গার সাহায্যে যাইতে হয় । অদ্য এখানে যতগুলি তীর্থ স্থান দশন করিব-সকলগুলিই এই নদের মধ্যভাগে অবস্থিত, সুতরাং সমস্ত তীর্থ স্থানগুলি দশনের নিমিত্ত নৌকা ভাড়া করা হইল। পাঠকবর্গের প্রীতির জন্য এখানকার নৌকার দৃশ্য প্রদত্ত হইল। ব্ৰহ্মপুত্রের তীর হইতে এই কামরূপ পাহাড়ের পাদদেশে উপস্থিত হইয়া উমানন্দ মহাদেবের দর্শন আশে পৰ্ব্বতোপরি আরোহণ করিবার সময়, ইহার বাম পাশ্বে একটা নিৰ্জন গুহা দেখিতে পাইলাম, এবং পাণ্ডা ঠাকুরকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “মহাশয়, এই জনশূন্য গহবরাটীর মধ্যে যদ্যপি ব্যাস্ত্ৰ থাকে, তাহা হইলে আমাদের মধ্যে কত লোকের অনিষ্ট করিবে-তাহার ইয়াত্তা নাই, আপনাদের দেশে যেরূপ ব্যাভ্রের উৎপাত শুনিতে পাই-তাহাতে প্ৰাণে ভয় হয় ।” তখন পাণ্ডা ঠাকুর মৃদু হাস্যসহকারে বললেন, “যদ্যপি আপনাদের