পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বশিষ্ঠাশ্রম C. C. s bangspriseringer পরিশ্রান্ত যাত্রীগণ এই প্রস্রবনে অবাধে স্নান করিয়া পরিতৃপ্ত হন । এই নির্জন আশ্রমটী অসংখ্য ভক্তগণের আগমনে ক্ষণেকের জন্য সরগরম হইয়া উঠিয়াছিল। আশ্রমের মধ্যে কেবলমাত্র দুই ঘর পাণ্ডা বাস। করেন, তাহারাই যাত্ৰাদিগকে দেবতা দর্শন এবং পূজাৰ্চনা করাইয়া দক্ষিণ বা প্ৰণামী আদায় করিয়া থাকেন । আমাদের জয়ধ্বনির কোলাহল শব্দ শ্রবণ করিয়া পাণ্ডা ঠাকুর যাত্রীসমাগম জানিতে পারিয়া ধীরে ধীরে মৃদুমন্দ গমনে জলমগ্ন শিবালয়ের নিকট উপস্থিত হইলেন, আমরা ও তাহার দর্শনে বিনা বাধায় আশ্রমটীর উপর দিকে আরোহণপূৰ্ব্বক প্রথমে একটী ভগ্ন প্রাচীরবেষ্টিত মন্দির দর্শন করিয়া সেই স্থানে উপস্থিত হইলাম। এই মন্দিরটা দেখিলেই অতি প্ৰাচীনকালে নিৰ্ম্মিত বলিয়া অনুমান হয়। আমরা সদলবলে তথায় উপস্থিত হইবামাত্র পাণ্ডা ঠাকুর নিকটে আসিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিলেন, এবং একে একে উপরোক্ত দেবালয়গুলির অভ্যন্তরে প্রবেশ করাইয়া দেবতাদিগের দর্শনদানে চরিতার্থ করাইলেন । তৎপরে তাহার উপদেশ মত ফুল ও বিস্তুপত্র সংগ্ৰহসহকারে দেবাদিদেব মহাদেবের পূজাৰ্চনা সম্পন্ন করিয়া, পাণ্ডা ঠাকুরকে সাধ্যমতে প্ৰণামী দিয়া সন্তুষ্ট করিলাম, এবং পদধূলি গ্রহণপূর্বক তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম,“গুরুজি ! এখানে এত বোটুকা *८श्कद्र उवाच* *७ श्रु दिक् निभिखु ?” তদুত্তরে তিনি বলিলেন, “‘বাবু সাহেব ! ব্যাস্ত্ৰগণ যখন তখন এই ঝরণায় জল পান করিতে আসিয়া থাকে, কিন্তু এখানে এই “বাবার” এমনি মাহাত্ম্য যে, তাহারা আশ্রম সীমার মধ্যে কখন কাহারও প্ৰতি অত্যাচার বা প্ৰাণনাশ করিতে পারে না । * এইরূপ উপদেশ পাইয়া তাহার নিকট বিদায় গ্ৰহণপূর্বক আশ্রমের নিম্নভাগে প্রস্রবনের এক ধারে জঠরানাল নিবৃত্তির জন্য যখন আমাদের দলস্থ লোক সকল রন্ধন