পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীশ্ৰীকামেশ্বরদেব দর্শন যাত্ৰা 6 pulo দ্রষ্টব্য তীর্থস্থানগুলি দেখিতে বাকি ছিল, সেইগুলি দর্শন করিবার জন্য তাহার নিকট অনুরোধ করাতে, তিনি আমাদের মনোগত ভাব অবগত হইয়া একটী বিশ্বাসী লোক সংগ্ৰহ করিয়া, অদ্যই আমাদের বাসাবাটীতে পাঠাইবেন বলিয়া অঙ্গীকার করিলেন । এই শেষ তারিখে আমাদের রন্ধন করিতে হয় নাই, কারণ এই দিবস মহামায়ার ভোগের প্রসাদ পাইয়াছিলাম । সে যাহা হউক, সর্বশেষে তীর্থ গুরু পাণ্ডাকে সাধ্য মত দক্ষিণা প্ৰদানসহকারে এখানকার নিয়ম সকল পালন এবং অস্তু বাচী সময়ের মহামায়া কামাখ্যাদেবীর অমূল্য ছিন্ন রক্ত বস্ত্ৰ উপহারস্বরূপ গ্ৰহণ করিয়া, কামাখ্যাদেবীকে একবার শেষ দর্শক-পূর্বক বাস। বাটী হইতে কামেশ্বরদেবকে দর্শন করিবার জন্য প্ৰস্তুত হইলাম । শ্ৰীশ্ৰীকামেশ্বরদেব দর্শন যাত্ৰা কামেশ্বর দেবের মন্দির ব্ৰহ্মপুত্র নদের পরপারে অবস্থিত । এই কামেশ্বর ও কামাখ্যাদেবীর সাহিত প্ৰতি বৎসর পৌষ মাসে কৃষ্ণ দ্বিতীয় তিথিতে অতি সমারোহে বিবাহ উৎসব সম্পন্ন হইয়া থাকে ; সেই উৎসবকে পুংসবন উৎসব বলে । সকল তীর্থ স্থানেই পাণ্ডার দ্বারা দশন স্পৰ্শন কাৰ্য্য হইয়া থাকে । ব্ৰহ্মপুত্রের পর পারের তীর হইতে কামেশ্বর দেবকে দর্শন করিবার জন্য দুইখানি গো-শকটি ভাড়া ধাৰ্য্য হইল। এই দুই খানি গো-শকটে যত লোক ধরে, তত লোকই আরোহণ করিলাম, আবশিষ্ট লোকগুলি গোমস্ত ঠাকুরের সহিত পদব্ৰজে৷ ইহঁাটাপথে গমন করিতে লাগিল । এইরূপে কামেশ্বর দেবের মন্দিরের পদ প্ৰান্তে উপস্থিত হইলাম । কামেশ্বর দেবের মন্দিরে উঠিতে অপরাপর মন্দির অপেক্ষা কিছু অধিক ক্লেশভোগ করিতে হয় ;