পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SN3 a তীৰ্থ-ভ্ৰমণ-কাহিনী assa ১ । ভারতবাসীরা স্বেচ্ছাক্রমে দাৰ্জিলিং এ বায়ু পরিবাৰ্ত্তনের জন্য গমন করিয়া থাকেন, কিন্তু প্ৰথমে তাহদের জানা আবশ্য ক, এখান, কার জলে এক প্ৰকার খনিজ পদাৰ্থ মিশ্রিত থাকায় উক্ত জল পান করিলেই উদরাময় হয়, অতএব কোন নুতন যাত্রী তথায় উপস্থিত হইয়া কৰ্ত্তব্যবোধে পাষ্টার কৃত ফিল্টারের জল ব্যবহার করিবেন। এইরূপ আবার অপরাহ পাচটার পর এখানে কোন তরল পদার্থ পান না করিলেও উদরাময় নিবৃত্তি হইয়া থাকে । ২ । দার্জিলিং-এ অবস্থান কালে ত্বকে অধিক পরিমাণে শোণিত সঞ্চারিত হয়, ইহার ফলে ত্বক পরিপুষ্ট হইয়া শরীরে বলাধান হয় সুতরাং অতিরিক্ত শৈত্য সেবনেও দেহের কোনরূপ অপকার করিতে R1 || ৩ । সারাঘাট হইতে শিলিগুড়ি পৰ্য্যন্ত যাইতে যাইতে প্ৰায়ই যাত্রীদিগের নিদ্রাকৰ্ষণ হইয়া থাকে,নিদ্রা যাইবার সময় অনাবৃত গৃত্যু থাকা কোনরূপেই উচিত নয়, কারণ ইহাতে শরীরে ঠাণ্ড লাগিীে অসুস্থ হইবার সম্ভাবনা । তিন ধরিয়া নামক ষ্টেশন হইতেই শীত ব: ব্যবহার করা কীৰ্ত্তব্য । যাহার শরীর সবল, তিনি সোনাদই শৈনের প হইতেই গরম বস্ত্র ব্যবহার করিবেন, অর্থাৎ সাবধান হই ধন, কোনরূ’ে শরীরে যেন ঠাণ্ড না লাগে । ইহার ফলে শরীর সুস্থ ও সবল হইবে ৪ । অসুস্থ শরীর লইয়া র্যাহারা দা: জৰ্জলিং সহরে বায়ু পরিবর্তনে জন্য যাত্রা করবেন, সে সময়টা যদ্যপি শীতকাল হয়, তাহা হই তাহারা পথিমধ্যে কিছুদিন “খরসানঃ- লাত্মক স্থানে যেন অবস্থা করেন, কেন না একেবারে ৭ হাজার ফিট উচ্চ দাৰ্জিলিং সহরে অ স্থান করিলে কখনই এদেশবাসীরা অতি ঠাণ্ডা সহ্যু করিতে পরিবেন না ৫ । যে সকল শিশু রোগজীর্ণ ও অত্যন্ত দুৰ্বল, দাৰ্জিলিং এর ভূ