পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S S ~ তীৰ্থ-ভ্ৰমণ-কাহিনী বিশ্রামাগারের সৌন্দৰ্য্য দেখিয়া মোহিত হইলাম । লাসাভিলার সন্নিকটে কলিকাতা নিবাসী স্বনামখ্যাত এ্যাটর্ণি শ্ৰীযুক্ত নিমাইচাঁদ বসু মহাশয়ের পৰ্ব্বতাবাস শোভা পাইতেছে । উপরোক্ত এই সকল ভাগ্যবানদিগের, আরও অপরাপর কতকগুলি বিশ্রামাগারের শোভা দেখিয়া নয়ন চরিতার্থপূর্বক সেদিনকার মত স্যানিটেরিয়মে প্ৰত্যাগমন করিলাম । পর দিবস সকালে বন্ধুবান্ধব সকলে মিলিত হইয়া এখানে জলাপাহাড় নামে যে পৰ্ব্বত আছে, তাহার সৌন্দৰ্য্য দেখিবার জন্য যাত্ৰা করিলাম। এদিন পথিমধ্যে ক’ত থ্যাবরা নাকি ভুটানী ও নেপছ৷ ললনা, দিগের সহিত নুতন বন্ধুদিগের সাহায্যে, নানা প্রকার কথাবাৰ্ত্ত কহিয়া তাহাদের আচার-ব্যবহারের বিষয় শুনিতে শুনিতে যথাসময়ে সহর হইতে বহু দূব “জলা পাহাড়ের” পাদদেশে আসিয়া উপস্থিত হইলাম । এই গিরিশৃঙ্গের উপরিভাগ প্ৰায় সমস্ত স্থানই সমতলভূমিতে পরিণত, --— কারণ এই স্থানে ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্টের সৈন্য স ক ল অবস্থান করিয়া থাকে। এখানে এই সকল শ্বেত সৈন্যদিগের নানা বর্ণের পোষাক এবং বিবিধ বর্ণের শুভ্র ও ঈষৎ ময়লা রংএর তাম্বু সকল খাটান থাকায়, সৈন্যবাসটা যেন এক নূতন সাজে সজ্জিত হইয়া, গিরিশৃঙ্গের শোভা ম্প রূন করি তেছে। জালাপাহাড়টা দাৰ্জিলিং সাহার হইতে ৭৩০ ফিট উচে অবস্থিত। এই সেনানিবাসের এক পাশ্ব হইতে অভ্ৰভেদী জগদ্বিখ্যাত মহাকায় “এভারেষ্ট এবং কাঞ্চন-জঙ্ঘার” অদ্ভুত ক্ষীণ দৃশ্য দর্শন করিয়া জীবন ও নয়ন চরিতার্থ করলাম। এই স্থানের দক্ষিণদিকের দৃশ্য সেঞ্চালের নিবিড় বনালি যেন তরঙ্গায়িত মহা সমুদ্রের ন্যায় আনন্তে মিশিয়া গিয়াছে—উত্তরদিক উন্মুক্ত, কেবলই পৰ্ব্বতশ্রেণী থরে থরে মেঘের খািন্তায় সজ্জাকৃতি । এইরূপে সেদিন কেবল জলা পাহাড়ের সৌন্দৰ্য্য দেখিয়াই বাসা বাটীতে প্রত্যাগমন করিলাম। কারণ এই অত্যুচ্চ আঁকা-কঁকা