পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

St d-f হইতে সিঞ্চল পাহাড়ে যাইতে হয়, সিঞ্চল দাৰ্জিলিং হইতে অনুন नाः মাইল দূরে অবস্থিত। সহযাত্রী বা বন্ধুদিগের নিকট স্যানিটেবিয়া উপদেশ পাইয়াছিলাম যে, সিঞ্চলে কাঞ্চন-জঙ্ঘার সৌন্দর্য দর্শন করিতে হইলে প্ৰাতে ৬টা হইতে ১১টার মধ্যে তথায় উপস্থিত হইবে হয়, এই নিৰ্দ্ধিারিত সময় অতিবাহিত হইলে পর এখানকার দর্শনী সৌন্দর্য্য দৃষ্টির বহির্ভূত হইয়া থাকে । তাহাদের নিকট এইরূপ উপদেশ প'ষ্টয়া সাধ ; মাত ত্র্যস্তভাবে যত শীঘ্ৰ পারিলাম, তােত শীঘ্রই তথায় উপস্থিত হইলাম । এই রূপে যথাসময়ে সদলে সিঞ্চলে উপস্থিত হইয়া, ই হার প্রতি স্থিরচিত্তে দৃষ্টিনিক্ষেপ করি বা মাত্ৰ যেন স্বচ্ছ সলিলরাশি গগণ ভেদ করিয়! উৰ্দ্ধ অবস্থিত রহিয়াছে, আবার সূৰ্য্যকিরণ উহার শিখরদেশ ঠিক স্বর্ণপাতে আবুত বলিয়া ভ্ৰম হইতে লাগিল । ভগবানের সৃষ্টির কি মাহাত্মা, এই স্থানে সূৰ্য্যদেব প্ৰাতে যােত উৰ্দ্ধে উঠিতে লাগিলেন, ইহার সৌন্দৰ্য্য ততই যেন রং বেরংএ চিত্রিত হইয়া সজ্জিত হইতে লাগিল। আহা ! এই মহান দৃশ্য যিনি একবার দেখিবেন, তিনিই মুগ্ধ হইবেন সন্দেহ নাই । সিঞ্চল হিমালয়ের সমভূমি হইতে দশ-বার হাজার ফিট ইt bচ অবস্থিত । এই অতু্যচ্চ স্থানে উপস্থিত হইলে অৰ্থাৎ নেপাল, ও সিকিমেরু মধ্যবৰ্ত্তী গিরিশিখরে দণ্ডায়মান হইলে দক্ষিণে অনন্ত সৌন্দৰ্য্যের আাধার “কাঞ্চন জজঘা”, এবং বামে জগদ্বিখ্যাত সর্বোচচ গিরি। “এভারেষ্টের” ভীমকান্ত মূৰ্ত্তি স্পষ্ট দেখিতে পাওয়া যায়। এখানকার পশ্চিমদিকের দৃশ্য বার মাইল দূরবত্তী পাহাড়ে অবস্থিত। এই স্থান হইতে যেখানে রণজিতের স্ফটিক স্বচ্ছ সলিল তিস্তাশাখার হরিদ্বর্ণ বারিরাশির সহিত মিশিয়াছে, সেই স্থানের মনোমুগ্ধকর অপূৰ্ব্ব শোভা নয়নগোচর হইলে মনে হয়, মানবজীবন সার্থক হইল। যিনি বি.ঞ্চলের প্যাক্লেড