পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰভাস তীর্থ SN) K Etrum হইলে যাত্ৰাদিগকে প্ৰথমে জকবল পুরে যাইতে হয়, তথা হইতে টাঙ্গার সাহায্যে অনুTন সাত ক্রোশ পথ অতিক্রমপূর্বক নিৰ্ম্মাদার তীরে পৌছিতে Α 变研目 আমরা সদলে ট্রেণে আরোহণ করিলে যথাসময়ে ষ্টেশনে ঘণ্টা বাজিল, গার্ড সাহেবের নীল লণ্ঠন দুলিল, তৎসঙ্গে এঞ্জিন হইতে বংশীধ্বনি হইয়া ধূমোদিগরণ করিতে করিতে ট্ৰেণখানি ধীরে ধীরে প্লাটফরম হইতে অগ্রসর হইতে লাগিল । বলাবাহুল্য, আমরা ঐ সঙ্গে মনে মনে সেই দুৰ্গতিহারিণী জগজ্জননী ত্ৰিশক্তিরূপিণী দুর্গার নাম জপ করিতে করিতে, আপনাপন স্থানে শয্যা পাতিয়া শয়ন করিলাম । সমস্ত রাত্ৰি ট্ৰেণ খানি দ্রুত গমন করিয়া যখন পর দিন প্ৰাতে মোগলসরাই নামক প্রধান ষ্টেশনে যাত্ৰীদিগের টিকিট চেক চাইতেছিল, তখন আমান নিদ্রা ভঙ্গ হইল। এই স্থানে টেণে বসিয়াই মনে মনে পুণ্যময়ী বারাণসীক্ষেত্রের বিশ্বেশ্বর, বিষ্ণু ও অন্নপূর্ণ দেবীর শ্ৰীচরণ ধানপূৰ্ব্বক প্ৰণিপাত করিলাম। তৎপরে চুনার নামক ষ্টেশনে ট্রেণ খানি উপস্থিত হাঁহ বা মাত্র সঙ্গী বন্ধুটী বলিলেন, “ভাই সকল—একবার শৃঙ্গবের রাজ্য স্থান দেখিয়া লাও, কারণ এটি স্থানই ভগবান শ্ৰী রামচন্দ্রের মিত্র সেলী গুহক চণ্ডালের আবাসপুরী।” বন্ধুর বাক্যে আমার রামায়ণেব পুণ্য কথা মনে হত। ল যে, পূৰ্ণব্ৰহ্ম ভগবান শ্ৰী রামরূপে ধারায় অবতীর্ণ হইয়া লোকচিন্তার্থে পিতৃসত্যপালন করিবার সময়, অনুজ লক্ষ্মণ ও সীতাদেবী- } সহ এই স্থানে গঙ্গাপার হইয়া প্ৰয়াগ তীর্থে গমন পূর্বক ভরদ্ধাজা শ্ৰমে । প্ৰয়াণ এবং তথা হইতে দণ্ড কারণ্যাভিমূখে যাত্ৰা করিয়াছিলেন । সে যাহা হউক, ক্ৰমে চলস্থ ট্ৰেণখানি বিন্ধাচল পার হইল, তখন ষ্টেশনের \ উপর গাড়ীতে বসিয়াই ইহার অনতিদূরে বিন্ধ্যা পৰ্ব্বতোপরি ঠগীদিগের প্ৰতিষ্ঠিত যোগমায়ার মন্দির দর্শনান্তে দেবী উদ্দেশে প্ৰণিপাত করি