পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোন অংশ ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছে, কোথাও বা প্ৰাচীর স্থান খসিয়া পড়িয়াছে, সেই প্রাচীরবেষ্টিত সমতল স্থানের মধ্যস্থলে গৌরীশঙ্করের মন্দির নামে একটা সুন্দর মন্দির শোভা পাইতেছে। অনুসন্ধানে জানিলাম, সম্রাট আকবরের প্রধান সেনাপতি সসৈন্যে গড়মণ্ডল আক্রমণ করিলে রাণী দুৰ্গাবতীর অসীম সাহসের পরিচয় পাইয়া “আসাফ খা” বিষঃ মনে এই পৰ্ব্বতশিখরে উপস্থিত হইয়া, হিন্দুর প্রতিষ্ঠিত ঐ সকল মূৰ্ত্তিগুলির উপর এইরূপ অত্যাচারপূর্বক, তাহার আগমনবার্তা এবং তৎসঙ্গে সেনাপতি আপন জয় কীৰ্ত্তি ঘোষণা করিয়াছেন । সে যাহা হউক, আমরা এখানে ভগবান গৌরীশঙ্করের পবিত্র মূৰ্ত্তি দর্শনপূৰ্ব্বক সকল পরিশ্রমের অবসান করিলাম। পাণ্ডার নিকট এখানে অ্যারও উপদেশ পাইলাম, প্ৰতি বৎসর কাৰ্ত্তিক পূর্ণিমায় এই স্থানে এক মেলা হয়, ঐ মেলা তিন চারিদিন বৰ্ত্তমান থাকায়, যাত্ৰীগণ ভগবান গৌরীশঙ্করের মহিমা প্ৰকাশ করিতে অবসর পাইয়া থাকেন । এইরূপে চৌষট্টি যোগিনী এবং গৌরীশঙ্করের পবিত্ৰ মূৰ্ত্তি দর্শন করিয়া এখান হইতে পুনরায় নিৰ্ম্মদ তীরে উপস্থিত হইলাম । পথিমধ্যে এক স্থানে পঞ্চবটী নামে একটী বঁাধান ঘাট, তাহার উপরিভাগে একটী প্ৰতিষ্ঠিত শিবমন্দির শোভা পাইতেছে ; শিবমন্দির হইতে নৰ্ম্মদ তীৰ্থাতীর পর্য্যন্ত প্ৰস্তর সোপান সজ্জীকৃত । এই ঘাটের উপর হইতে ইতস্ততঃ দৃষ্টিনিক্ষেপ করিলে সৃষ্টিকৰ্ত্তার অপূৰ্ব্ব লীলা সকল দর্শনে বিস্ময়:বিষ্ট হইতে হয়। কথিত আছে, পাণ্ডবেরা বনবাস কালে এই পঞ্চবটী ঘাটে বসিয়া পিতৃ পুরুষদিগের উদ্দেশে শ্ৰাদ্ধ ও তৰ্পণাদি সম্পন্ন করিপ্লাছিলেন । এই নিমিত্ত অনেক যাত্রী এই ঘাটে বসিয়া স্নান ও তৰ্পণ ক্ৰিয়া সম্পন্ন করিয়া থাকেন । পঞ্চবটী ঘাটের সন্নিকটে “ডাক বাস্ত্ৰলা” একখানি সুশোভিত চিত্রের কৃষ্ঠায় আপন শোভা বিস্তার করিয়া Y