পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাসকুণ্ড Գ $ - - - - - - - - ܐ -- ܕ -- - •ܚ-- .. ܒܪ ܚ -- -- -----.. . . --- - - -.. " Tr এক অদ্ভুত বৃক্ষ দেখিতে পাওয়া য{য় । কথিত আছে, এই বৃক্ষমূলে ব্যাসদেব, মহেশের অাদেশ মত তপস্যা করিয়া সিদ্ধি লাভ করিয়াছিলেন বুলিয়া, বৃক্ষের নিম্নস্থ কুণ্ডটি ব্যাসকুণ্ড নামে খ্যাত হইয়াছে । এই বটুক ব্লক্ষের ন্যায় আশ্চৰ্য্য বৃক্ষ বড় একটা দৃষ্টিগোচর হয় না। বৃক্ষের মূল স্থানটা ইষ্টক দ্বারা বাঁধান আছে। এখানে মন্ত্রপূত করিয়া পাঁচটী লোষ্ট্র নিক্ষেপ করিব{ার প্রথা আছে। এই রূপে ব্যাসকুণ্ড নামক তীর্থ স্থানের নিয়ম স ক ল পালনপূৰ্ব্বক পুরোহিতের উপদেশ মত ভগবান স্বয়স্থনাথের ! শ্ৰীচরণ বন্দনা করিতে যাত্ৰা করিলাম। স্বয় স্তুনাথের মন্দিরটীি এখান হইতে প্রায় অদ্ধ মাইল দূরে অবস্থিত। ব্যাসকুণ্ডের উৎপত্তির কিম্বদন্তী এইরূপ :- কাশীধামের অবিমুক্তক্ষেত্রের মাহাত্ম্য বিঘোষিত হইলে পর, মহামুনি ব্যাসদেব কণার পর পারে এক স্থানে আপন নামানুসারে একটিী নুতন কাশীর সৃষ্টি করিতে লাগিলেন, ঐ নুতন কাশীর নাম ব্যাসকাশী হু হ’ল । মুনি বর এই ব্যাস কাশীর মাহাত্মা কাশীর অবিমুক্ত ক্ষেত্র অপেক্ষা অধিক করি বার মানস করলেন, কেন না। তিনি স্থির করিয়াছিলেন, কাশীক্ষেত্রে যদি কোন মহাপাপী অন্য ত্ৰে পাপ কায্য করিয়া কাশীবাসী ই ইয়া আর কোনরূপ পাপ কায্যে রত না হয়, তাহা হইলে মহেশের কৃপায় অন্তে তিনি মোক্ষলাভ করিয়া বৈকুণ্ঠে স্থান প্ৰাপ্ত হইবেন, কিন্তু আমার কাশীতে যদি কোন পাপী অন্য ত্ৰে পাপ কার্য্যে রত থাকিয়াও এখানে পাপ কাৰ্য্য করে, এবং এই স্থানের সীমার মধ্যে দেহ ত্যাগ করিতে পারে ; তাহা হইলে আমার কৃপায় সে ব্যক্তি নিঃসন্দেহে মুক্তিলভি পাইবে । মহামায়া অন্নপূৰ্ণাদেবী ব্যাসমানির মনোভাব অন্তরে অবগত হইয়া এক বৃদ্ধাবেশে ব্যাস যথায় নুতন কাশী নিৰ্ম্মাণ করিতে