পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

· ዓቅ.. তীৰ্থ-ভ্ৰমণ-কাহিনী LSLSeLeLSSSeSSSSSSSLSCCSSSLSLSSSSSSSMMLSSSLeCCMSLSLSLSLSLSLSLSLS *=ðumছিলেন—তথায় উপস্থিত হইয়া বলিলেন, “বাবা ! তুমি এক মনে আগ্রহের সহিত এখানে কি করিতেছি ?” ব্যাস-মায়াময়ীর মায়া অবগত না হইয়া বলিলেন, “বুড়ি ! আমি এখানে এমন একটী কাশী নিৰ্ম্মাণ করিতেছি যে, আমার এই ক্ষেত্রে যে কোন মহাপাপী আসিয়া বাস করিবে, অথবা অপর কোন স্থানে পাপ কাৰ্য্য করিয়া যদি আমার প্রতিষ্ঠিত কাশীসীমার মধ্যে থাকি য়াও সৰ্ব্বদা পাপে রত হয়, এবং এখানে দেহ ত্যাগ করে, তাহা হইলে আমি স্বয়ং তাহাকে মুক্তি দান করিয়া শিবিলোকে স্থান দান করিব।” ব্যাস প্রমুখাৎ দেবী এইরূপ অবগত হইয়া কিয়দূর অগ্রসর হইলেন, এবং তৎক্ষণাৎ দুই-এক পদ পশ্চাদ্ভাগে অ্যাসিয়া পুনরায় অগ্রসর হইয়া ব্যাসকে বলিলেন, “‘বাবা, তুমি কি বলিলে-এখানে মরিলে কি হয় বলিলে বাবা ?” এই রূপ পুনঃ পুনঃ জিজ্ঞাসা করাতে ব্যাস বিরক্ত হইয়া বলিলেন, “এখানে মরলে গাধা হয়, শুনতে পেয়েছিস বুড়ি !” দেবী “তথাস্তু” বলিয়া তাহার আশা ব্যর্থ করিয়া আপন গন্তব্য স্থানে প্ৰস্থান করিলেন । ব্যাসদেব আপন বুদ্ধির দোষে এইরূপে দেবীর নিকট পর* তৃ হইয়া অকৃতকাৰ্য্য হইলেন । কারণ ব্যাসদেব যে কাশীর সৃষ্টি কৰি গান, এই সীমার মধ্যে কেহ প্ৰাণ ত্যাগ করিলে তাহাকে দেবীর বর প্রভাবে গর্দভ জন্ম গ্ৰহণ করিতে হয় । এই কারণে মনের দুঃখে মহেশ্বরকে প্ৰসন্ন করিবার মানসে ব্যাসদেব বিশ্বেশ্বর নিৰ্ম্মিত কাশীসীমার মধ্যে এক স্থানে বসিয়া তপস্যা করিতে লাগিলেন । ভোলা মহেশ্বর মুনির আচরণে পূৰ্ব্ব হইতে অসন্তুষ্ট হইয়াছিলেন, কিন্তু এবার তঁাহার ভক্তিতে তুষ্ট হইয়া ব্যাসের অভীষ্ট সিদ্ধ করিবার মানসে তাহার সাধের কাশী