পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

总之8 তীৰ্থ-ভ্ৰমণ-কাহিনী । . . . . . ট্রামগুলি ছোট ছোট, সুতরাং যা ব্রীদিগের মোট পুটলি কোন कि छूछे বহন করিতে পারে না ; আবার ষ্টেশন হইতে যে ট্রাম গুলি সহ রামধ্যে যাতায়াত করে, উহা প্ৰভাস পত্তিনের নির্দিষ্ট প্রাচীর ফটক পৰ্যন্ত যায়। এই দুই মাইল পথ অতিক্ৰম করিতে প্ৰত্যেক যাত্রীকে ১৫ ভাড়া দিতে হয়। ট্রামে যাইলে যাত্ৰাদিগকে তথা হইতে আবার এক মাইল হাট। পথ অতিক্ৰম করিয়া তীর্থ তীরে পৌছিতে হয় । এই সকল নানা প্ৰকার অসুবিধা দর্শনে আমরা ট্রামের পরিবৰ্ত্তে দুইখানি টাঙ্গ গাড়ী ষ্টেশন হইতে তীৰ্থ তীরের ধৰ্ম্মশালায় যাইবার নিমিত্ত ৮৭০ আনা হিসাবে ভাড়া ধাৰ্য্য করিলাম। জব্বলপুরের ন্যায়। এখানে ও একখানি টাঙ্গা গাড়ীতে তিনজন আরোহী বহন করিবার নিয়ম আছে । আমাদের দলে চারিজন লোক এতদ্ভিন্ন বিছানা, তোরঙ্গ প্রভৃতি যে সমস্ত মোট পুটলিী ছিল, ঐ সমস্ত দ্রব্য গুলি টাঙ্গা গাড়ীতে বোঝাই করিয়া নির্বিঘ্নে এখানকার কত প্ৰাচীন হম্মরাশিশোভিত অপ্ৰশস্ত রাজপথের শোভা দর্শন করিতে করিতে প্ৰভাস তীর্থ তীরের ধৰ্ম্মশালার পাদ প্ৰান্তে উপস্থিত ठूछ्रेड म । . পূৰ্ব্বে এখানে যাত্রীদিগের বিশ্রামের নিমিত্ত কোনরূপ অ' শ্রয় স্থান না থাকায়, বোম্বাই সহরের প্রসিদ্ধ ভাটিয়া-বণিক সদাস নি “বসনজী নন্দজী” মহাশয় অকাতরে বহু অর্থ ব্যয়সহকারে এই পাকা ধৰ্ম্মশালাটী নিৰ্ম্মাণ করাইয়া যাত্রীদিগের কত উপকার করিয়াছেন এবং তৎসঙ্গে কত পুণ্যসঞ্চয় করিয়াছেন, তাহার ইয়াত্তা নাই । কারণ এখানকার এই আশ্রয়হীন তীর্থ স্থানে বিনা ব্যয়ে একাধিক্ৰমে তিন-চারি রাত্রি এইরূপ সুন্দর ধৰ্ম্মশালাতে নিৰ্ভয়ে নিশ্চিন্তভাবে বাস করিতে পাইলে, কোন কৃতজ্ঞ প্ৰাণ না ভগবানের নিকট এই আশ্রয়দাতার মঙ্গল কামনা করিবেন ? ভারতের যত দেশ-বিদেশ বিশেষতঃ, বােম্বাই ও মাত্ৰাজ,