পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/৩১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RNSO O তীর্থ-ভ্ৰমণ-কাহিনী শ্রেষ্ঠগণ ! সম্প্রতি এখানে যে সাধ, লা মহোৎপাত দৃষ্ট হইতেছে, ইহাতে কি তোমরা বুঝিতেছি না, যে এ সকল অমঙ্গলের চিহ্ন ? আমার বিবেচনায় এ স্থানে মুহর্তকাল আর আমাদের অবস্থান করা উচিত হইতেছে না, তিনি আরও বলিলেন, দ্বারকায় যে সমস্ত বৃদ্ধ, বালক ও পুরমহিলাগণ অবস্থান করিতেছেন, তাহারা সকলে শঙ্খোদ্ধার তীর্থে গমন করুন । আর তোমরা সকলে আমার সহিত প্ৰভাস-তীর্থে আইস-ঐ পুণ্য স্থানে প্ৰভাস- স্বামী ভগবান সোমনাথের দশন করিয়া আমরা সকলে মান, দানাদি দ্বারা পবিত্ৰ হইয়া বিবিধ উপচারে দেবগণের অৰ্চনা করিব .* বিশ্বচক্রি বাসুদেবের আন্তরিক ভাব কেহই জানিতে পারিলেন না, সুতরাং তঁহার উপদেশ মত সকলেই প্ৰভাস তীর্থে যাত্ৰা করিলেন, এবং স্নান, দানাদি কাৰ্য্য সম্পন্ন করিয়া মায়া ময়ের ইচ্ছায় সকলেই একত্রে Hr মধুপানে মত্ত হইলেন । কালের গতি কে রোধ করিতে পারে ? শ্ৰীকৃষ্ণের মায়ায় তীৰ্ণ হারা সকলেই মোহিত, অর্থাৎ আত্মপর বিবেচনাশূন্য, ফলতঃ যাদবপতির ইচ্ছায় যথাসময়ে তঁ1হার একযোগে মহান কলহে প্ৰবৃত্ত হইয়া আপনাপন কুলক্ষয় করিতে আরম্ভ করিলেন এই-- রূপে সেই প্ৰী লয়ঙ্কর সংগ্রাম সময় ক্ৰমশঃ তাহাদের অস্ত্ৰ-শস্ত্ৰ “ নিঃশেষ হইল, তখন সমুদ্রতীরজাত “এরকা” নামক তৃণ স ক ল উত্তোলন পূর্বক তদ্বারা পরস্পর পাবসম্পরকে প্ৰহার করিতে লাগিলেন, যে সকল খ্যাতনামা বীরগণের ইতিপূৰ্ব্বে অস্ত্ৰাঘাতে মৃত্যু হয় নাই, এক্ষণে এই এরকাঘাতে তাহাদিগকে ভূমিতলে পতিত হইতে হইল। এই রূপে যদুকুল নষ্ট প্রায় হইলে বলরাম শ্ৰীকৃষ্ণের মায়া বুঝিতে পারিলেন এবং যোগবলাম্বনে অপ্রকট হইলেন । এদিকে শ্ৰীকৃষ্ণ বলরামের নিত্যধামে প্ৰবেশ অবলোকন করিয়া, তিনি ও তেজোময় চতুভুজরূপ ধারণ করত: মৌন