যাদবস্তলীর আদি বৃত্তান্ত S8 ܒ ܕ ভাবে এক অশ্বখ তরুতলে উপবেশনপূৰ্ব্বক মনে মনে বালিপত্নী “তারার” অভিশাপের বিষয় ভাবিতেছেন, তত, বসরে জর নামক ব্যাধ ভগবানের চরণকে মৃগবদনক্ৰমে বাণ দ্বারা বিদ করিল, পরে সে এই রহস্য ভেদ করিলে আত্মীকৃত অপরাধ ক্ষা লৈ না খাঁ ভীতচিত্তে তাহারই চরণতলে পতিত হইয়া কৃপা ভিক্ষা করিতে লাগিল । ভক্তবৎসল ভগবান তখন মধুর বচনে জরাকে অভয়দানে বলিতে লাগিলেন, “বৎস ! তোমার পরিতাপের প্রয়োজন নাই, ত্রেতাযুগে আমি ধারায় রামরূপে অবতীর্ণ হইয়া বানররাজ বালিকে বিনা দোষে বিনাশ করিয়াছিলাম, সেই কারণে বালিপত্নী তারা-রোষ ভরে তঁহারই পুত্রের হস্তে আমার প্ৰাণান্ত হইবে বলিয়া অভিশম্পাৎ প্ৰদান করেন, এই হেতু তুমি আমারই ইচ্ছায় মৃগবদনন্দ্ৰিমে আমার চরণ বিদ্ধ করিতে সমর্থ হইয়াছ, আমার ইচ্ছা ব্যতীরেকে তুমি কখনও এ কার্য্য সিদ্ধ করিতে সক্ষম হইতে না । তুমিই সেই বালি পুত্ৰ এক্ষণে ব্যাধিরূপে জন্মগ্রহণপূর্বক আমার প্রাণান্ত করিয়া সতী বা ক্যা পালন করিয়াছ । আমাদের উভয়েরই নিত্যধামে যাইবার সময় হইয়াছে, অতএব আমার আশীৰ্ব্বাদে তুমি স্বৰ্গারোহণ কর । এইরূপে তিনি সেই প্ৰাণহন্ত জরা ব্যাধকে স্বৰ্গে পাঠাইয়। অ্যাপন মাহাত্ম্য প্ৰকাশ করিলেন । এদিকে দারু ক ভগবানের আদর্শনে ভয় বিহবলাচিত্তে ধূল্যবলুষ্ঠিত হইয়া রুদ্ধ কণ্ঠে রোদন করিতে করিতে বলিলেন, * প্ৰভো ! এ আবার কি লীলা, দয়াময়! ভক্ত বৎসল হরি! ক্ষণেক তোমার রাঙ্গাচরণ দু’খনি দর্শন না পাইয়। যে আমার দৃষ্টি অন্ধকারে আচ্ছন্ন হইয়াছে।” তখন শ্ৰীকৃষ্ণ দারুক সারথীকে আশ্বাস প্রদানে তাহারই দ্বারা যদুকুল ধ্বংসের ংবাদ দ্বারকাপুরে প্রেরণ করিলেন, অধিকন্তু তাহাকে সবান্ধবে উঠা স্থারই পিতামাতার সহিত অৰ্জ্জুন কর্তৃক রক্ষিত হইয়া ইন্দ্র প্রন্থে গমন
