পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Dep তীৰ্থ-ভ্রমণ-কাহিনী । { হয়, ঐ স্তম্ভ স্থানটিই সেই হোম স্থানের চিহ্নস্বরূপ বৰ্ত্তমান রহিয়াছে। এখানে এই মাঙ্গলিক হোমের সময় প্ৰভাস সহরের যাবতীয় প্ৰজা কি ব্ৰাহ্মণ, কি ক্ষত্ৰিয়, কি বৈশ্য, এমন কি মুসলমান স্ত্রী পুরুষগণ পৰ্য্যন্ত ইহার এক পাশ্বে দণ্ডায়মান থাকিয়া ভগবানের কৃপা প্ৰাৰ্থনা করিয়া থাকেন । এই উৎসব-এ ক্ষেত্রে এক মহামারী ব্যাপার । নুতন সোমনাথ মন্দির প্ৰভাসের প্রাচীন মন্দিরটি ধবংস হইবার পর মহারাষ্ট্ৰীয়া মহারাণী । প্ৰাতঃস্মরণীয়া অহল্যা বাই সোমনাথের এই নূতন মন্দিরটি নিৰ্ম্মাণ স্বকীয়াইয়া এক লিঙ্গ মূৰ্ত্তি স্থাপনা পূর্বক আপনি কীৰ্ত্তি প্ৰতিষ্ঠা করেন । মন্দিরাভ্যন্তরে পাতাল গহবরে সোমনাথ নামক লিঙ্গ মূৰ্ত্তি স্থাপিত । মন্দিরের পৃথক পৃথক প্রকোষ্ঠে গঙ্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, পাৰ্ব্বতী ও নন্দীকেশ্বরের মূৰ্ত্তি দর্শন পাওয়া যায় । এই সুন্দর नूलैन মনিদ রুটী প্ৰাচীন সোমনাথের মন্দিরের নিকট সমুদ্রতীর হইতে অল্প দূরে পল্লীর মধ্যে অবস্থিত। এইরূপে প্ৰাচীন ও নূতন সোমনাথের মন্দির শোভা দৰ্শন করিয়া পল্লীর ভিতর ধৰ্ম্মশালাভিমুখে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিলাম ! সুথিমধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিমাভিমুখে এক বাজারের ভিতর প্রবেশ কf . ঋ। ক্রমে জুম্মা মসজিদে স্ব পার্শ্বদেশ অতিক্ৰমপূৰ্পক প্ৰভাসপাত্তনের প্রাচীর দ্বারের মধ্যপথ ভেদ করিয়া রাজপথে উপস্থিত হইলাম, হাঁহারই মধ্যে অসংখ্য কবির স্থান বিরাজিত। পাণ্ডা ঠাকুর বলিলেন, পূর্বে অর্থাৎ ১০২৪ খৃষ্টাব্দে যখন সুলতান মামুদ এই পুরী আক্রমণ করেন, তখন তাহার . নিহত সৈন্যগণকে ঐ সকল স্থানে কবর দেওয়া হয় ; সুতরাং বলিতে হইবে, ঐ সকল কবির স্থান অদ্যাপি এখানে বর্তমান থাকিয়া সুলতান মামুদের জয় ঘোষণা করিতেছে ।

  • —(