পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুরুধুনী তীর্থ brసా সলিলা মন্দাকিনী নদীর সহিত সংযুক্ত আছে । এই নিমিত্ত সহস্ৰরার তীরে বসিয়া যথানিয়মে মন্দাকিনীর উদেশে সঙ্কল্প ও তৰ্পণ কাৰ্য্য স্পন্ন করিতে হয় ৷ তীর্থ স্থানের সন্নিকটেই যাত্রীদিগের বিশ্রামের দ্য এক খানি করোগেট টীনের ছাদ যুক্ত গৃহ আছে, আবশ্যক মত ক্তগণ তথায় বিশ্রাম করিয়া থাকেন । এইরূপে এখানকার নিয়মগুলি লনপূর্বক ব্ৰহ্মকুণ্ড নামক তীর্থে যাত্ৰা করিলাম। ব্ৰহ্মকুণ্ড তীর্থ সহস্রধারার সন্নিকটে এক অতু্যচ্চ পাহাড়ের উপরিভাগে জঙ্গলারত স্থানে ব্ৰহ্মকুণ্ডটি অজ্ঞাতভাবে বিরাজিত । এখানে পুরোহিতের সাহায্যে মন্ত্র উচ্চারণপূর্বক সঙ্কল্প করিতে হয় এবং ভক্তিসহকারে ইহার পবিত্র বারি মস্তকে সিঞ্চন করিতে হয় । ব্ৰহ্মকুণ্ডে উল্লেখযোগ্য এমন কোন কিছু মাহাত্ম্য দর্শন পাইলাম না, তবে ইহার জল ঈষৎ উষ্ণ ও লবণাক্ত মাত্র, আরও এই কুণ্ড মধ্যে সদাসৰ্ব্বদা এক প্রকার বুদবুদ উঠিতেছে, ইহাই ইহার মাহাত্ম্য দর্শন করিলাম। গুরুধুনী তীর্থ ব্ৰহ্মকুণ্ড হইতে এই গিরিশৃঙ্গের পাদমূলে উপস্থিত হইবামাত্ৰ পাণ্ড। ঠাকুর ইহার নিম্নভাগের এক স্থান নির্দেশ করিয়া বলিলেন, ইহাই *গুরুধুনী তীৰ্থ” { গুরুধুনীর মাহাত্ম্য অদ্ভুত ! এখানে দৃষ্টিপাত করিলে কেবল পাহাড় গাত্ৰ হইতে অগ্নিশিখা দেখিতে পাওয়া যায় ; ঐ অগ্নিশিখাই গুরুধুনী নামে প্ৰসিদ্ধ। এই তীর্থে অগ্নি স্পর্শ ও প্ৰণাম ভিন্ন