পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা ہ/رہ ۔۔۔ یہی۔ سعح= সমূহে অত্যাচার হইতে লাগিল । বলাবাহুল্য, হিন্দু চিরকালই তথগমন প্ৰয়াসী, তাহাদের বিশ্বাস-তীর্থে গমন করিলে এবং তীর্থ সেবা করিলে মুক্তির পথ পরিস্কার হয়, এই নিমিত্ত বিদেশ যাত্রার কথা উত্থাপিত হইলে তঁাহারা তীর্থ স্থানকেই স্মরণ করেন । কিন্তু ঐ সকল বিধৰ্ম্মীদিগের অত্যাচারে হিন্দু যাত্রীদিগের তীর্থ গমনে বিশেষ বিস্ত্ৰ । উপস্থিত হইল, কেন না। তাহাদের কর্তৃক তীর্থের দুর্গম পথ নানাবিধ অশান্তিপূর্ণ হইল ; ফলতঃ প্রাণভয়ে তীর্থভ্রমণ-প্ৰথা অন্তহিত হইতে আরম্ভ হইল, পরস্তু র্যাহারা বৃদ্ধ ও সংসার বিরাগী, তঁাহারাহ কেবল জীবনের আশা পরিত্যাগপূর্বক মুক্তি কামনা করিয়া ভগবানের শ্ৰীচরণে দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন পুৰ্ব্বক একমাত্র তাহারই শ্ৰীচরণ ধ্যান । করিতে করিতে তীর্থ পৰ্য্যটনে বহির্গত হইতেন । কালরূপী ভগবানের চক্রান্তে ভারতে ইংরাজ রাজত্ব প্ৰতিষ্ঠিত হইলে, “তঁহাদের সুশাসন গুণে আজ কাল সর্বত্রই শান্তি সংস্থাপিত হইয়াছে, বস্তুতঃ তঁা তাদের অমিত পরিশ্রমের ফলস্বরূপ এবং প্ৰচণ্ড প্ৰতাপে ঐ সকল দসু্যদল প্রায়ু নিৰ্ম্মল হইয়াছে। ইংরাজদেগের বুদ্ধিবলে এবং শিক্ষা কৌশলে এক্ষণে বাষ্পীয় শকট ও জলযানের সৃষ্টি হওয়াতে সেই সকল একমাত্র মুক্তিস্থল, “তীর্থ স্তান” যতদুর সম্ভব সুখসাধ্য ও সুগম হইয়াছে, সুতরাং ইচ্ছা করিলেই এক্ষণে আবাল, বুদ্ধবনিতা হিন্দুমাত্ৰ সকলেই আবার অল্প ব্যয়ে নিৰ্ভয়ে সেই স ক ল তীর্থ সেবা করিয়া পরীকালের মুক্তি পথ পরিষ্কার করিতে সক্ষম হই । ভগবানের নিকট ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্টের স্থায়ীত্ব প্ৰাৰ্থনা করিতেছে । কথিত আছে, বিদেশ ভ্ৰমণ করিয়া বিদেশী আচার-ব্যবহার শিক্ষালাভে আত্মোন্নতি ও জ্ঞানের বিকাশ হয়, আবার সাধারণ লোক দগকে তদ্বিষয়ে উপদেশ প্ৰদান করিয়া তৎসঙ্গে পরিহিত সাধনও হয়, অর্থাৎ দেশবিদেশ।