তীৰ্থ-ভ্ৰমণ-কাহিনী tre থাকাতে নগরটা অধিক দূৱ বিস্তৃত বলিয়া অনুমান হয় না । তীরে সম্মুখেই বিশাল পোতাশ্রয়, তথায় ছোট ছোট দ্বীপে পরিপূর্ণ। এখা;ে দেশী জাহাজের সাদা পাইলগুলি দূর হইতে দেখিলে যেন এক এক? বকপক্ষী উড়িতেছে বলিয়া বোধ হয়, তদ্ব্যতীত বড় বড় জাহাজেরও গ;ি বিধি এখানে দেখিতে পাওয়া যায় । সমুদ্রের তীরেই ডক, মালগুদাম { আড়াই ক্রোশ ব্যাপী একপ্রকার আলখােবাধ দৃষ্ট হইয়া থাকে । বোম্বাই দ্বীপটী সমতল, সাড়ে পাঁচ ক্রোশ দীর্ঘ এবং দেড় ক্রো", প্ৰস্থ । ইহার দুই পাশ্বের্ণ দুইটী অনুচ্চ গিরি দণ্ডায়মান থাকিয়া সহরে? সৌন্দৰ্য্য প্ৰকাশ করিতেছে। এই দুইটী পাহাড়ের মধ্যে একটী অধিক দীর্ঘ, সেই দীর্ঘ গিরিরাজ সমুদ্রের দিকে অগ্রসর হইয়া কোলাবা-পয়েণ্ট নামক স্থানে সংযুক্ত হইয়াছে । পশ্চিম দিকে সমুদ্র তরঙ্গের আক্রম: এঈ কোলাব। পয়েণ্ট হইতে পোতাশ্রয়ের রক্ষা হইয়া থাকে । অপরটি মলয় পৰ্ব্বত পৰ্য্যন্ত প্রসারিত হইয়া শেষ হইয়াছে । এই দুই রেখার মধ্যেষ্ঠ * ব্যাকবে৷” পোতাশ্রয়েব উচ্চশিরে বোম্বে ফোর্ট প্রতিষ্ঠিত । এই স্থানে? চারিদিকেই বসতি পূৰ্ণ নগর শোভা পাইতেছে। এই সকল নগরের এক দিকের প্রাচীর ভাঙ্গিয়া এক্ষণে দুর্গের ভিতর সওদাগর দিগের কার্য্যালয় প্ৰতিষ্ঠিত হইয়াছে । বোম্বাই নগরে পশুদিগের নিমিত্ত একটী চিকিৎসালয়, জৈন সম্প্রদা? দ্বারা প্ৰতিষ্ঠিত হইয়াছে, উহা পিঞ্জীরপোল নামে খ্যাত । এই পিঞ্জরিপোলে স্থানীয় প্রাচীন গো, অশ্ব, মেষ, কুকুর, বিড়াল প্ৰভৃতি এবং পক্ষীকূল পৰ্য্যন্ত শুশ্ৰষ্যা হইয়া থাকে । বোম্বাই সহরে যে সমস্ত ধনবান ব্যক্তি বাস করেন, তঁহাদের মতো। অধিকাংশ লোকের বিলাস-ভবন বা বাগানবাড়ী মালাবার পর্বতের శ్రా? ভাগে নিৰ্ম্মিত আছে, ঐ সকল সুসজ্জিত বিলাসভবনের সৌন্দৰ্য নয়নগোচৰ স্নইলে আত্মহারা হইতে হয় । এইস্থান হইতে নগর ও সমুদ্রের দৃশ্য অর্টি
