পাতা:সচিত্র রেল অবতার - অনাথবন্ধু সেন.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
রেল অবতার।

পাঁচ টাকা ফিরাইয়া দিতে গেলে, বিনোদ বলিল—আমি ও পাঁচ টাকা যখন আপনার ছেলেকে দিয়াছি, তখন ফিরিয়া নিতে চাই না।”

 কেরাণীবাবু দ্বিরুক্তি না করিয়া বাটীতে প্রবেশ করিলেন।

 পরদিন সকাল আটটার সময় বিনোদ বড়সাহেবের বাংলার ফটকের কাছে, একটা গাছের নীচে দাঁড়াইয়া রহিল।

 বেলা ৮॥০ টার সময় মেম‍্কে লইয়া, সাহেব হাওয়া খাইয়া ট্রলী (ঠেলা গাড়ী) করিয়া ফিরিয়া আসিলেন। বিনোদ কাছে যাইয়া তাঁহাদিগকে সেলাম করিয়া দাঁড়াইল। সাহেব বলিলেন—“কি চাও বাবু?”

 বিনোদের ইংরাজী বিদ্যা মাইনর্ পর্যন্ত। সে ইংরাজী বলিবে কি করিয়া? তবে শুনিয়াছিল সাহেব ও মেম দুজনেই বেশ বাঙ্গলা জানেন। তাই বাঙ্গলাতেই বলিল—“হুজুর, আমার মা বাপ নাই—আপনারাই আমার মা বাপ্। অল্প লেখাপড়া শিখিয়াছি, কোথাও চাকরী যুটিতেছে না। একটা টিকিট কালেক্টারের কাজ খালি আছে শুনে, দরখাস্ত করেছি। কিন্তু তাও যে আপনার নিকট পৌঁছায় তার আশা নাই। এস‍্ট্যাবলিস‍্মেণ্ট বাবু পাঁচ টাকা নিয়েছেন—কিন্তু এখন কাজও করে দিচ্ছেন না—টাকাও ফিরিয়ে দিচ্ছেন না। আমাকে এবার না খেয়ে মর‍্তে হবে। হুজুর, আমি শুনেছি, আপনি বড় দয়ালু, আমার একটা কাজ আপনাকে করে দিতেই হবে।”

 নেহাৎ বালক দেখিয়া,সাহেব বিনোদের কথা গুলি ধীরভাবে