পাতা:সচিত্র রেল অবতার - অনাথবন্ধু সেন.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শেয়ানে শেয়ানে কোলাকুলি।
৩৭

শুনিতেছিলেন। তাহার আবদারের সহিত কথা গুলি শুনিয়া, সাহেব ও মেমের তাহার প্রতি কেমন একটু দয়া হইল। সাহেব বলিলেন—“তুমি আমার সঙ্গে আফিসে দেখা করিও। কাজ পাইবে, ভাবনা নাই।”

 বিনোদ সেলাম করিয়া হাসিমুখে মেসে ফিরিয়া গেল।

 বেলা দশটার সময় অফিসে আসিয়াই, সাহেব এস‍্ট্যাবলিস‍্মেণ্ট ক্লার্ককে ডাকিয়া পাঠাইলেন। যে ছোকরা টিকিট কালেক্টারের কাজের জন্য দরখাস্ত করিয়াছে, তাহার দরখাস্তখানি তাঁহাকে হাজির করিতে বলিলেন। কেরাণীবাবুর বুঝিতে বাকী রহিল না—বিনোদই সেই ছোকরা।

 দরখাস্তখানি ও বিনোদকে সঙ্গে লইয়া আসিলে, সাহেব কেরাণীবাবুকে বলিলেন—“আমি এই ছোকরাটিকে টিকিট কালেক্টারের কাজে নিযুক্ত করিলাম। ইহার বাহাল করা চিঠি আজই বাহির করিয়া দাও। আর তুমি যে পাঁচটাকা ইহার নিকট হইতে ঘুষ লইয়াছ, তাহা এখনই ফিরাইয়া দিবে। ফের্ যদি ঘুষ খাইয়াছ শুনিতে পাই, তা হ’লে তোমাকে ডিস‍্মিস করিব—মনে রাখিও।”

 কেরাণীবাবু আমতা আমতা করিয়া বলিলেন—“হুজুর, টাকা আমার ছেলের হাতে দিয়াছিল। আমি ফিরাইয়া দিতে চাহিলেও লয় নাই। আমার দোষ কি, হুজুর?”

 সাহেব বলিলেন—“আমাকে বোকা বুঝাইও না।