কিছু বল্লে না, তখন ত সে স্বীকারই যাচ্ছে, যে বাবুর সন্দেশের হাঁড়ি সেই নিয়েছে!
মহা উল্লাসের সঙ্গে চোরকে নিয়ে, কন্ষ্টেবল প্রভু থানায় গিয়ে হাজির। তখন ইন্স্পেক্টার বাবু রোয়াকে বসে চুরুট খাচ্ছিলেন। কনষ্টেবল চোর ধরার কথা সমস্ত নিবেদন কর্লে।
ইন্সপেক্টার বাবু কুলীকে তর্জ্জন গর্জন করে বল্লেন—“ইয়ে শালা, হাণ্ডি তোমারা কাঁহা মিলা?”
চোরটা কাঁদুনীর সুরে বল্লে—“হুজুর এ হাণ্ডিঠো গাড়ীকা ভিতর কোই আদমি ছুট গিয়া থা—বহুত বখত লেনে নেই আয়া—উস ওয়াস্তে হাম উঠা লিয়া। খানেকো চিজ হ্যায় হুজুর, ইয়ে বহুত রুপেয়াকা মাল নেহি হ্যায়। হুজুর গরীবক। মা বাপ্—কসুর মাপ কিজিয়ে।”
ইন্সপেক্টার হাঁড়ি খুলে, কি জিনিষ আছে দেখতে চাইলেন।
সোৎসাহে কনষ্টেবল হাঁড়ি খুলিল, কিন্তু খুলবা মাত্র চার পা পিছিয়ে পড়ল। উচ্চৈঃস্বরে বল্লে—“বাবু সাব, মেরা জাত্ গিয়া, ইয়্যা সীতারাম! সীতারাম!”
এই বলে কনষ্টেবল মুহুর্মুহু থুতু ফেলতে লাগল। চোর বেটাও ব্যাপার বুঝতে পেরে “সীতারাম! সীতারাম!” বলতে বলতে, নাক মুখ সিটকাতে ও থুতু ফেলতে লাগল।
ইন্সপেক্টার যখন বুঝলেন—চোর বেটার ও কনষ্টেবলের কেমন কর্ম্ম ভোগ হয়েছে, তখন নিজে নিজে ভারী হাসি হেসে নিলেন। হাসি থামলে বল্লেন—“তুম্ বড়া বড়িঁয়া চোর—