পাতা:সঞ্চয়িতা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গ্রন্থপরিচয়
৮৪৩

ভুলে গেছি কবে তুমি ছেলেবেলা একদিন
মরমের কাছে এসেছিলে;
স্নেহময়, ছায়াময়, সন্ধ্যা-সম আঁখি মেলি
একবার বুঝি হেসেছিলে।

৩২ সৃষ্টি স্থিতি প্রলয়। সংক্ষিপ্ত পাঠ। মূলতঃ ভারতী পত্রিকার ১২৮৮ চৈত্র সংখ্যায় প্রকাশিত।

৩৬ নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ। ভারতী পত্রিকার ১২৮৯ অগ্রহায়ণ সংখ্যায় মুদ্রিত; বর্তমান পাঠ সংক্ষিপ্ত ও সংস্কৃত। জীবনস্মৃতির ‘প্রভাতসংগীত’ অধ্যায়ে কবি লিখিয়াছেন—

 [সদর স্ট্রীটের বাড়িতে থাকিবার কালে] একদিন সকালে বারান্দায় দাঁড়াইয়া আমি সেই দিকে চাহিলাম। তখন সেই গাছগুলির পল্লবান্তরাল হইতে সূর্যোদয় হইতেছিল। চাহিয়া থাকিতে থাকিতে হঠাৎ এক মুহূর্তের মধ্যে আমার চোখের উপর হইতে যেন একটা পর্দা সরিয়া গেল। দেখিলাম, একটি অপরূপ মহিমায় বিশ্বসংসার সমাচ্ছন্ন, আনন্দে এবং সৌন্দর্যে সর্বত্রই তরঙ্গিত। আমার হৃদয়ে স্তরে স্তরে যে-একটা বিষাদের আচ্ছাদন ছিল তাহা এক নিমিষেই ভেদ করিয়া আমার সমস্ত ভিতরটাতে বিশ্বের আলোক একেবারে বিচ্ছুরিত হইয়া পড়িল। সেই দিনই নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ কবিতাটি নির্ঝরের মতোই যেন উৎসারিত হইয়া বহিয়া চলিল। লেখা শেষ হইয়া গেল, কিন্তু জগতের সেই আনন্দরূপের উপর তখনও যবনিকা পড়িয়া গেল না।

৩৮ প্রভাত-উৎসব। সংক্ষিপ্ত পাঠ। মূলতঃ, ভারতী পত্রিকার ১২৮৯ পৌষ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। জীবনস্মৃতির ‘প্রভাতসংগীত’ অধ্যায়ে কবি লিখিয়াছেন—

 এই মুহূর্তেই পৃথিবীর সর্বত্রই নানা লোকালয়ে, নানা কাজে, নানা আবশ্যকে, কোটি কোটি মানব চঞ্চল হইয়া উঠিতেছে—সেই ধরণীব্যাপী সমগ্র মানবের দেহচাঞ্চল্যকে সুবৃহৎভাবে এক করিয়া দেখিয়া আমি একটি মহাসৌন্দর্য-নৃত্যের আভাস পাইতাম। বন্ধুকে