পাতা:সঞ্চয়িতা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৮৫৬
সঞ্চয়িতা
৮৫৬

৮৫৬ সঞ্চয়িতা

পরিপূর্ণতা। সৃষ্টিতছ এই রূপসৌন্দর্যের চরমতা মানবেরই রূপে। সেই মানবরূপের চরমতাই স্বর্গীয়। উর্বশীতে সেই সৌন্দর্য ঐকান্তিক হয়েছে, অমরাবতীর উপযুক্ত হয়েছে। সে যেন চিরযৌবনের পাত্রে রূপের অমৃত_-তার সঙ্গে কল্যাণ মিশ্রিত নেই। সে অবিমিশ্র মাধুর্য। ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৩

  জীবনদেবতা। এই কবিতায় নিখিল রবীন্দ্রকাব্যের যে বিশেষ তত্বটি নিহিত আছে, নানা ছন্দে নানা রূপে যাহা, নিরুদ্দেশ যাত্রা (পু ১০৯), এবার ফিরাও মোরে (পৃ ২১৯), চিত্রা (পৃ ২৪৪), আবেদন (পৃ ২৪৫ ), সিন্ধুপারে (পৃ ২৭), অশেষ (পৃ ৩১২) আবিভাব (পৃ ৪৩২), বধূ (পৃ ৭৮৯) গ্রতৃতি নানা কবিতায় ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত, রবীন্দ্রনাথ সে সম্পর্কে এপন্টাসিক প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়কে একখানি চিঠিতে লেখেন_-
   যিনি "আমিনামক এই ক্ষুত্র নৌকাটিকে সুর চনত গ্রহ ক্ষত হইতে, লোকলোকাস্তর যুগযুগাস্তর হইতে, একাকী কালআোছে বাহিনী লইয়া আসিতেছেন, খিনি আমাকে লইয়া অনাদি কালের ঘাট হইতে অনন্তকালের ঘাটের দিকে কী মনে করিয়া চলিয়াছেন আমি জানি না, সমস্ত ভালোবাস! সমস্ত সৌন্দর্যে আমি ধাহাকে খণ্ড খণ্ড ভাবে স্পর্শ করিতেছি, যিনি বাহিরে নানা এবং অন্তরে এক, যিনি ব্যাপ্তভাবে সুখদুঃখ অশ্রুহাসি এবং গভীর ভাবে আনন্দ, চিত্রা গ্রন্থে আমি তহাকেই বিচিত্রভাবে বন্দনা ও বর্ণনা করিয়াছি। ধর্মশাস্ত্রে যাহাকে ঈশ্বর বলে তিনি বিশ্বলোকের, আমি তাহার কথা বলি নাই; যিনি বিশেষরূপে আমার, অনাদি অনস্তকাল একমাত্র আমার, আমার সমস্ত জগত্সংসাঁর সম্পূর্ণরূপে

ধাহার দ্বারা আচ্ছন্, যিনি আমার এবং আমি ধাহার, ফিনি আমার অন্তরে এবং যাহার অন্তরে আমি, যাহাকে ছাড়া আমি কাহাকেও ভালোবানিতে পারি নী, যিনি ছাড়া আর কেহ এবং কিছুই আমাকে আনন্দ দিতে পারে না, চিত্রা কাব্যে তাহারই কথা আছে। আমি তাহারই কাছে আবেদন করিয়াছি যে, তোমার