এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৮৬১
সঞ্চয়িতা
৮৬১
সঞ্চয়িতা ৮৬১
মুখ দিয়ে যাই ; মনেতে ভাবি তোমার ঘরে ছিল আমারো দাবি-- হারায়ে ফেলেছি সে ঘুর্ণিবায়ে অনেক কাজে আর অনেক দায়ে ॥
এখানে পথ চলা পথিকজনা আপনি এসে বনে অন্যমনা। তাহার বসা সেও চলারই তালে, তাহার আনাগোনা সহজ চালে ; আমন লঘু তার, অল্প বোঝা-- সোজা সে চলে আসে, যায় সে সোজা।
আমি যে ফাঁদি ভিত বিরাম ভুলি, চূড়ার 'পরে চূড়া আকাশে তুলি। আমি যে ভাবনার জটিল জালে বাঁধিযা নিতে চাই সুদূর কালে সে জালে আপনারে জড়াই ঠেসে, পথের অধিকার হারাই শেষে॥
নীলমণিলতা। ইহার ভূমিকা-
শান্তিনিকেতন-উত্তরায়ণের একটি কোণের বাড়িতে আমার বাসা ছিল। এই বাসার অঙ্গনে আমার পরলোকগত বন্ধু পিয়র্সন একটি বিদেশী গাছের চারা রোপণ করেছিলেন । অনেক কাল অপেক্ষার পরে নীলফুলের স্তবকে স্তবকে একদিন যে আপনার অজস্র পরিচয় অবারিত করলে। নীল রঙে আমার গভীর আনন্দ, তাই এই ফুলের বাণী আমার যাতায়াতের পথে প্রতিদিন আমাকে ডাক দিয়ে বারে বারে স্তব্ধ করেছে। আমার দিক থেকে কবিরও কিছু বলবার ইচ্ছে হত, কিন্তু নাম না গেলে সম্ভাষণ চলে না। তাই
১ ইহার বিদেশী নাম পেট্রিয়খ (28৮18)