পাতা:সঞ্চয়িতা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৮৭০
সঞ্চয়িতা
৮৭০

৮৭০ সঞ্চয়িতা

       হঠাৎ কিসের আওয়াজ হল, তন্দ্রা ভেঙে যায়-
       তাকিয়ে দেখি,কলকাতা সেই আছে কলকাতায় ॥
    ৬ পৌষ ১৩৩৬

৭৬০ রঙ্গ। জাদু, এ তো বড়ে রঙ্গ 'ছড়াটির

       অনুকরণে লিখিত।'লোক-সাহিত্য গ্রন্থে 
      “ছেলেভুলানো ছড়া" প্রবন্ধ দ্রষ্টব্য।

৭৬১-৬২ খাপছাড়া। কবির স্বরচিত চিত্রে শোভিত। প্রকাশ ১৩৪৩ মাঘ। ৭৭৩-৭৭ প্রান্তিক। সংকলিত প্রথম দুটি কবিতা বাদে,

      অন্যগুলি ১৯৩৭ সালের গুরুতর পীড়ার পর 
      আরোগ্যলাভের মুখে রচিত।

৭৭৩ অবরুদ্ধ ছিল বায়ু! শেষসপ্তক কাব্যে তেইশ-সংখ্যক

      কবিতায় এই ভাবই (সংকলিত কবিতার দ্বিতীয় ও 
      তৃতীয় স্তবক তুলনীয় )গদ্যছন্দে রূপলাভ 
      করিয়াছে__
         আজ শরতের আলোয় এই-যে চেয়ে দেখি,
          মনে হয়, এ যেন আমার প্রথম দেখা ।
           আমি দেখলেম নবীনকে
             প্রতিদিনের ক্লান্ত চোখ
               যার দর্শন হারিয়েছে ॥
      কল্পনা করছি--
        অনাগত যুগ থেকে
          তীর্ঘযাত্রী আমি
            ভেসে এসেছি মন্ত্রবলে।
      উজান স্বপ্নের স্রোতে
        পৌছলেম এই মুহূর্তেই
          বর্তমান শতাব্দীর ঘাটে
     কেবল তাকিয়ে আছি উৎসুক চোখে।
        আপনাকে দেখছি আপনার বাইরে
          অন্ত যুগের অজানা আমি
            অভ্যস্ত পরিচয়ের পরপারে ।