এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৭৪
মেঘনাদবধ কাব্য
কে আছে রথী এ বিশ্বে, বিমুখয়ে রণে
একাকী এ রক্ষোবৃন্দে? এ প্রপঞ্চে তবে
কেন বঞ্চাইছ দাসে, কহ তা দাসেরে,
সর্ব্বভুক্? কি কৌতুক এ তব, কৌতুকি?
নহে নিরাকার দেব, সৌমিত্রি, কেমনে
এ মন্দিরে পশিবে সে? এখনও দেখ
রুদ্ধদ্বার। বর, প্রভু, দেহ এ কিঙ্করে,
নিঃশঙ্ক করিব লঙ্কা বধিয়া রাঘবে
আজি, খেদাইব দূরে কিষ্কিন্ধা- অধীপে,
বাঁধি আনি রাজপদে দিব বিভীষণে
রাজদ্রোহী। ওই শুন, নাদিছে চৌদিকে
শৃঙ্গ-শৃঙ্গনাদিগ্রাম। বিলম্বিলে আমি,
ভগ্নোদ্যম রক্ষঃচমূ বিদাও আমারে!”
উত্তরিলা দেবাকৃতি সৌমিত্রি কেশরী;—
‘কৃতান্ত আমি রে তোর, দুরন্ত রাবণি!
মাটী কাটি দংশে সর্প আয়ুহীন জনে।
মদে মত্ত সদা তুই, দেববলে বলী;
তবু অবহেলা, মূঢ়, করিস্ সতত
দেবকুলে! এত দিনে মজিলি দুর্ম্মতি!
দেবাদেশে রণে আমি আহ্বানি রে তোরে!
এতেক কহিয়া বলী উলঙ্গিলা অসি
ভৈরবে। ঝলসি আঁখি কালানল-তেজে: