এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২৪
মেঘনাদবধ কাব্য
“রাজ্য ত্যজি, বনবাসে নিবাসিনু যবে,
লক্ষ্মণ, কুটীর—দ্বারে, আইলে যামিনী,
ধনু-করে হে সুধম্বি! জাগিতে সতত
রক্ষিতে আমায় তুমি; আজি রক্ষঃপুরে—
আজি এই রক্ষঃপুরে অরি মাঝে আমি,
বিপদ-সলিলে মগ্ন, তবুও ভুলিয়া
আমায়, হে মহাবাহো! লভিছ ভূতলে
বিরাম? রাখিবে আজি কে, কহ আমারে?
উঠ, বলি! করে তুমি বিরত পালিতে
ভ্রাতৃ-আজ্ঞা? তবে যদি মম ভাগ্যদোষে—
চিরভাগ্যহীন আমি— ত্যজিলা আমারে,
প্রাণাধিক, কহ শুনি, কোন্ অপরাধে
অপরাধী তব কাছে অভাগী-জানকী?
দেবর-লক্ষ্মণে স্মরি রক্ষঃকারাগারে
কাঁদিছে সে দিবানিশি। কেমনে ভুলিলে—
হে ভাই, কেমনে তুমি ভুলিলে হে আজি,
মাতৃসম নিত্য যারে সেবিতে আদরে?
হে রাঘবকুল-চূড়া! তব কুলবধূ,
রাখে বাঁধি পৌলস্ত্যেয়? না শান্তি সংগ্রামে
হেন দুষ্টমতি চোরে, উচিত কি তব
এ শয়ন—বীরবীর্য্যে সর্ব্বভুক্সম
দুর্ব্বার সংগ্রামে তুমি? উঠ ভীমবাহু,