** সপত্নীসরে । ব্যবসায়ও ছিল—তাহ এ পর্য্যন্ত গ্রামে প্রকাশ হয় নাই। গোস্বামী স্বরবান ছিলেন ও র্তাহার সংগীতশক্তিও ছিল। ভূত্যকে কহিলেন “তৰে চল, কাল প্রাতে বারবেলার পূৰ্ব্বে গিয়া ভূপতিকে আশীৰ্ব্বাদ করিয়া আসি—লাভালাভ প্রাক্তন ”। প্রাচীন ভূত্য সায় দিয়া কছিল “ চলুনতার কি আর কথা আছে"। পরদিন পূৰ্ব্বাঙ্কুে আদিমাধব প্রাতঃস্নান করিয়া “হরি” ধ্বনি দিয়া বাহির হইলেন। সঙ্গে পুরাতন সেবক আসন লইয়া চলিল। বাম হাতে পিতল বাধা হকা-দক্ষিণ হাতে খন্তী— গোস্বামীর কষ্ট পাছকার খটু খটু শব্দে পাড়ীর লোক তটস্থ হইল ও ছোট ছোট শিশুরা ভয় পাইল। পথের লোক এক ধার হইতে লাগিল ও ছোট বড় সকল লোকেই গলায় বস্ত্ৰ দিয়া পথের দুই দিকে সারি সারি গড়াইতে লাগিল । - রাজা কাছারীতে বসিয়া আছেন। সম্মুখে প্রবীণ মিত্র দেওয়ান। বাম ভাগে গঙ্গাধর }গজেট। স্বৰ্গীয় ভূম্যধিকারীর একমাত্র পুত্র ছিলেন। তিনিও অপ্রাপ্ত ব্যবহার। নাম দেৱেন্দ্রমোহন। কিন্তু গ্রামস্থ ছোট বড় সমস্ত লোকে তঁাহাকে সাদরে “ রাজা বাবু” বলিয়া ডাকিত। তাহাতে সেই অবধি তিনি “ রাজা বাবু” নামে বিখ্যাত হইয়াছিলেন । “ রাজা বাবু প্রথমতঃ গ্রাম্য পাঠশালায় পাঠ করিয়া পুরাতন প্রণালী মতে ৰাঙ্গাল শিক্ষা করিয়াছিলেন। তাছার পর জিলাস্কলে রীতিমত ইংরাজী পাঠ করেন। ইতি মধ্যে পিতার পরলোক হওয়াতে র্তাহীকে অগত্য পাঠাগার পরিত্যাগ করিতে হইল। রাজা বাৰু পিতার পরলোক হওয়াতে ষষ্ক্রপ বিষন্ন হইয়াছিলেন, পাঠাগার পরিত্যাগ করিতে তজপ খিদ্যমান হন নাই। তিনি বাল্যকালেই অশ্বারোহণ অভ্যাস করিয়া অত্যুগ্র অশ্বগণকে অনায়াসে আজ্ঞাবহ করিয়া অল্পকালেই নিপুণ
