পাতা:সপত্নী সরো.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপত্নী সরে । - - גשי নবম অধ্যায় । । অন্তঃপুরের বার্তা ও সরো ও গেজেটের মন্ত্রণাদি। পুণ্য দিন উত্তরায়ণের প্রারম্ভে পুণ্যবতী নারীরা প্রত্যুষে পতিতপাবনী সুরধুনীর পবিত্র বারিতে প্রাতঃস্নান করিয়া পুণ্যানুষ্ঠান করিয়া থাকেন,—তাহা এতদেশীয় লোকচিারসিদ্ধ। রাজাবাবুর জননী তদনুযায়ি স্নান আহ্নিক করিয়া অন্তঃপুরের নিম্ন প্রকোষ্ঠে বসিয়া আছেন, এমত কালে গোলাপকুমারী আসিয়া তাহার পাশ্বে দাড়াইয়া অতি চিন্তিতের ন্যায় অধোবদনে হস্তাঙ্গুলির নখ খুঁটিতে লাগিলেন। মাতা তাহ লক্ষ করিয়া ক্ষণেক মৌন থাকিয় জিজ্ঞাসা করিলেন, “কিগো মা-ভাবৃচে কি ?-কথা কি ? ষ্ট গোলাপকুমারী সজল নয়নে কহিলেন, “ মা, অামার এক বিষয়ে বড় মনোদুঃখ হয়েছে। এই গ্রামে আমরা পুরুষানুক্রমে বাস করিতেছি-কখন কেহ কোন বিষয়ে মন্দ কথা কহে নাই। এখন লোকে কাণাকাণি করিতেছে যে রাজাবাবুর জন্যে বুঝি আমাদের গ্রাম হইতে বাস উঠিবেক। দাদাবাবু ইদানীং কিছু অন্যায় করিতেছেন । মাতৃ কহিলেন, " কি অন্যায় ?” গোলাপ কহিল, “বাদাবাবু নাকি বিশ্বাসদের আকের জুমীটুকু নিচ্চেন। সেই তাদের খাবার সংস্থান। শুন্‌চি নাকি সেই খানে বৈঠকখানা করবেন। বিশ্বাসদের কুমুদ আমার কাছে এসে সে সব কথা বলে গেল। এই সমস্ত গঙ্গাধর গেজেটের কৰ্ম্ম। সেই ভাঙ্গচে– সেই গোড়চে । দাদীবাবুর সে এখন এমন প্রিয়, যে গেজেট উঠতে বললে উঠেন, বসতে বললে বসেন। মা আমাদের কি শেষ এই হবে, যে আমরা গেজেটের হাত তোলা খাবো । ইহা কহিয়া গোলাপকুমারী