পাতা:সময় অসময় নিঃসময় - তপোধীর ভট্টাচার্য.pdf/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

অবিভাজ্য প্রকাশ সম্পর্কে অবহিত হওয়ার জন্যেই আপন ভাষায় রচিত বইপত্র সম্পর্কে উৎসুক এখানকার পড়ুয়ারা। উত্তর-পূর্ব থেকে তাকালে সমস্তই তো পশ্চিম; ঢাকা, কলকাতা, ইউরোপ বা আমেরিকা। কেউ রয়েছেন অদূরবর্তী পশ্চিমে আর কেউবা বহু বহু দূরবর্তী পশ্চিমে। বহুবিধ এই পশ্চিমের জানালা আমরা খুলেই রেখেছি। জানি, আলোর সঙ্গে সঙ্গে আসবে আঁধিও, নতুন হাওয়ার সঙ্গে আসবে ধুলো ও মারীবীজ। কিন্তু তা আমাদের ভাষা-জননীর সঙ্গে নাড়ির বাঁধনকে কখনওই ভুলিয়ে দিতে পারবে। এই আমাদের উপনিবেশোত্তর পরিস্থিতি যেখান প্রাক্-আধুনিক পর্যায় আজও সমাজের সর্বত্র উপস্থিত অথচ এরই উপরে চেপে বসেছে পশ্চিমী আধুনিকতাবাদ ও খানিকটা আধুনিকোত্তরবাদের আভাস দিয়ে গড়া আঙরাখা। তবু লেখাই নিঙড়ে নেয় কুশ্রীতা ও দীনতা-ভরা বেঁচে থাকার আয়োজন থেকে জীবন ও নন্দনের মধু। কোনো এক কবি তাই লেখেন:

‘ভাষার গভীরে নেমে এসো বৃষ্টির শ্রাবণ
প্রতিটি আখরে জাগো
শস্য তোক ফুল হোক রূপ তোক প্রতিটি বর্ষণে
কথা থেকে সংকেত জাগুক।’

১৮৭