লিনুসোটেনের ভ্রমণ-বৃত্তান্ত 86 অধিকাংশই কৃষ্টি ও শাসনকারী ভগবানের অস্তিত্ব স্বীকার করিলেও সূৰ্য্য ও চন্দ্ৰকে পুজা করে। ইহার এই জন্মের দোষগুণানুযায়ী পরজন্মে পুরস্কৃত হইবার কথাও স্বীকা করে। কিন্তু, ইহাদের পাগোড়া নামক মূৰ্ত্তি বা প্ৰতিমা আছে; এইগুলি দেখিতে অত্যন্ত কদাকার ও ভূতপ্রেতের ন্যায় + । এগুলিকে প্রত্যহ পূজা করা হয় এবং ইহাব বলে যে, যে সকল সাধু ব্যক্তি এই সকল অলৌকিক কীৰ্ত্তিসম্পন্ন দেবতাদের সংসর্গে বাস করেন, তাহারা, দেবতাদের সহিত কথোপকথন করিতে পারেন। অনেক সময় এই সকল মূৰ্ত্তির অভ্যন্তর হইতে ভূত ঐ সকল সাধুবাক্তিগণের সহিত বাক্যালাপ করে। সাধুব্যক্তিগণও তাহার সহিত সখ্যতা রাখিবার জন্য তাহাকে নানা প্রকারে পূজা কবে । এতদ্দেশে একটী অদ্ভুত প্ৰথা আছে। কুমারীর বিবাহের সময়, তাহাকে বিশেষ সাজসজ্জা ও বাদ্যের সহিত দেবতার সম্মুখে লইয়া যাওয়া হয়। এই দেবতা ক্ষুদ্র এক গ্লানি হস্তিদন্ত নিৰ্ম্মিত। নিকটবৰ্ত্তী আত্মীয় ও আত্মীয়াগণ বর ও কনে সাহ দেবতার নিকট নানা প্রকার কদাচাবি ও পূজাদি সম্পন্ন করে এবং দেবতাকে উপহার প্রদান করিয়া কনেকে গৃহে আনয়ন করতঃ বিবেবি হস্তে সমর্পণ কবে । প্ৰাতঃকালে যে দ্রব্যের সহিত তাহদের সর্বপ্রথমে সাক্ষাৎ লাভ হয়, ইহারা সমস্ত দিবস কাল তাহাকেই পূজা করে। " এমনকি ঐ দ্রব্যটা বরাহ বা অন্য যে কোন দ্রব্য হউক না কেন, তাহাব! উহারই নিকট প্রার্থনা কবে। প্রশ্ৰাতঃকালে গৃহের বহির্দেশে গমনুকালে যদি • সর্বপ্রথমে বায়ুস তাহদের দৃষ্টীভূত হয় ( এতদ্দেশে এই পৃক্ষীর অভাব নাই), তবে সেই
- ফীচের ভ্রমণবৃত্তান্ত ৪২ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য।
ミー*ー>ー>・