পাতা:সমসাময়িক ভারত ইউরোপীয়ান্‌ পর্য্যটক (প্রথম খণ্ড).pdf/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SAR ভারতে ইউরোপীয়ান পৰ্যটক শেষোক্ত কক্ষে গবাক্ষ বা আলোক প্রবেশের কোনই ছিদ্র নাই। মধ্যস্থলে একটী ক্ষুদ্র দ্বার এবং এই দ্বারের উভয় পাশ্বেই প্ৰাচীর গাত্রে ক্ষুদ্র অগ্নিকুণ্ড ছিল । পুজাকালে গৃহে ধুম প্ৰবেশ জন্য এই প্রাচীরে কয়েকটা ছিদ্রও ছিল । আমরা সেই স্থানে চাউল, শস্য, ফল, কুকুট ও অন্যান্য নানা প্ৰকার উপহাব দেখিলাম। ভারতীয়গণ প্ৰতিদিন এই সকল উপহাব প্ৰদান করে। কিন্তু, ঐ স্থান হহঁতে এৰূপ পূতিগন্ধ ও ধূম নিৰ্গত হইতেছিল যে সকলোবই নিশ্বাস রোধ হইয়া আসতেছিল । মন্দিরের মধ্যস্থলে প্ৰস্তর নিৰ্ম্মিত একটী ষণ্ড ছিল এবং আমাদের একজন সঙ্গী ক্রীড়াচ্ছলে এই যাণ্ডোপরি আরোহণ করাতে, মন্দির রক্ষক ব্ৰাহ্মণ চীৎকার করিয়া সাহায্য প্রার্থনা করিতে লাগিল এবং তাহার চীৎকারে অনেক প্ৰতিবেশী তথায় সমাগত হইল। কিন্তু, তাহাদের আগমনের পুর্বেই, “আমখ৷ ব্ৰাহ্মণের নিকট দোষ স্বীকার করিয়া ও অন্যান্য প্রকারে তাহাব ক্ৰোধোপনয়নে সক্ষম হইলাম এবং প্ৰতিবেশীবৰ্গও গৃহে গমন করিল। তখন আমরা ব্ৰাহ্মণকে অভ্যন্তরস্থ মন্দিরের দ্বার উদঘাটনের জন্য অনেকক্ষণ অনুরোধ করাতে সে সম্মত হইয়া আমাদের কপালে ভস্মচিহ্ন দিবার ইচ্ছা প্ৰকাশ করিল। কিন্তু আমরা অস্বীকার করাতে, বাধ্য হইয়া তাঙ্কার নিকট প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হইলাম যে, আমরা মাত্ৰ মন্দিরের দ্বারদেশ পৰ্য্যন্ত অগ্রসর হইব । উহাদের মন্দির-দ্বার উন্মুক্ত হইলে বােধ' টাইল যে উহা একটী চুণের খনি। আলোক প্রবেশের জন্য উহাতে 'বিন্দুমাত্রও ছিদ্র ছিল না। কক্ষ মধ্যে অন্ততঃ একশত প্ৰদীপ প্ৰঅলিত এবং মধ্যস্থলে একটী বেদী ছিল । এই বেদী কার্পাস ও সুবর্ণের আবরণে আচ্ছাদিত ছিল। মন্দিরন্থ ব্ৰাহ্মণ বলিল যে, দেবতা আকারে ক্ষুদ্র শিশুর জায়।