পাতা:সমসাময়িক ভারত ইউরোপীয়ান্‌ পর্য্যটক (প্রথম খণ্ড).pdf/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ses stics ইউরোপীয়ান পৰ্যটক রাজকুমারের স্বতঃই প্ৰবৃত্তি দেখা যাইত। খ্ৰীষ্টান বালকের নিকটও এইরূপ গুণই আমরা প্রত্যাশা করিতাম। বালক শিক্ষকের এত বাধ্য ছিল এবং এত মনোযোগপূর্বক শিক্ষকের বাক্য শ্রবণ করিত যে তিরস্কৃত হইলেও তাহার দিকে চাহিতে সাহস করিত না। তিনমাস। গত হইবার পূর্বেই সে পড়িতে শিখিল এবং তাহার শিক্ষকের হস্তলিপির সহিত তাহার হস্তলিপির এমন সাদৃশ্য দাড়াইল যে, যে কেহ বিনা সঙ্কোচে বলিত যে বালক পূর্ণ একবৎসর পড়িয়াছে। এরূপ উন্নতিতে তাহার পিতা অবশ্য অত্যধিক আহলাদিত হইলেন ইহা বলাই বাহুল্য। বাদশাহ আজ্ঞা দিয়াছিলেন যে, শিক্ষক। তঁহাকে মুখস্থ করিবার জন্য যে পাঠ দিবেন। বাদশাহপুত্ৰ প্ৰত্যহ তাহা বাদশাহকে আবৃত্তি করিয়া শুনাইবে । ইহার জন্য যথা সাধ্য পাঠ অভ্যাস করিতে তাহার উৎসাহ জন্মিল। কারণ বাদশাহের প্রকৃতি এইরূপ যে, তিনি সন্তানদিগকে যত অধিক স্নেহ করিতেন, প্ৰয়োজন হইলে ততই কৰ্কশভাবে তিনি তাহাদিগকে সম্বোধন করিতেন। তখন তিনি শুধু তিরস্কার করিয়াই ক্ষান্ত থাকিতেন না, শাস্তি পৰ্যন্ত প্ৰদান করিতেন। রাজপুত্রেরা দোষ করিলে তাহাদিগকে শাস্তিপ্রদান করিবার ক্ষমতা তিনি শিক্ষকদিগকে দিয়াছিলেন। যাজককে এইরূপ ক্ষমতা প্রদত্ত হইয়াছে ইহা জানিতে পারিয়া তাহার শিক্ষককে রাজপুত্র এত ভয় করিত যে কেবল শিক্ষকের মিষ্ট কথায় তাহাদুর হইত। তিনি রাজপুত্রকে বুঝাইতেন যে তাঁহার নিকট ভয়ের কোন কারণ নাই ; পর্তুগীজদিগের দেশের পতা মাতা ও শিক্ষক ব্যতীত অন্য কাহারও রাজপুত্ৰকে শৈশবাবস্থায় শাস্তি দিবার রীতি নাই ; আর দেশের ব্যবস্থাসম্মত হইলেও বিদেশীর পক্ষে এমন প্রতাপশালী বাদশাহের পত্রকে প্ৰহার করা অনুচিত। এরূপ উচ্চহৃদয় ও প্ৰত্যয়কারী বাদশাহ শিক্ষককে তিরস্কার ট্র্য শান্তিপ্ৰদান