পাতা:সমসাময়িক ভারত ইউরোপীয়ান্‌ পর্য্যটক (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে ইউরোপীয়ান পৰ্যটক YS 'অস্ত্ৰধারণে সক্ষম ছিল। কিন্তু, এ প্রসঙ্গে ইহা স্মরণ রাখিতে হইবে যে, বিজয়নগর এ সময়ে তাহার কীৰ্ত্তির শীর্ষস্থান অধিকার করে নাই । ১৩৩৬ খৃষ্টাব্দে বিজয়নগর 'প্ৰতিষ্ঠিত হয় এবং ১৫৬৫ বৎসর। পৰ্যন্ত ইহা প্ৰাধান্য লাভ করিয়াছিল। সুতরাং, সে হিসাবে কন্টি তথাকার সৈন্য সম্বন্ধে যাহাঁ বলিয়াছেন তাঙ্গা প্রকৃতই উল্লেখযোগ্য। উভয় পৰ্যটকের কেহই বিজয়নগর রাজ্যের পরিমাণ প্ৰদান করেন নাই বটে ; (২১) কিন্তু, কন্টি ও নিকিটিন উভয়ের বর্ণনা হইতেই আমরা বিজয়নগর ও বামনী রাজ্যের বিবাদ বিসম্বাদের যথেষ্ট ইতিহাস প্ৰাপ্ত হই। নিকিটন বিজয়নগরের সমৃদ্ধির ও উহার অবস্থানেরও বিষদ বর্ণনা প্ৰদান করিয়াছেন। নিকিটন হইতে আমবা বামনী রাজ্যেরও অনেক ইতিহাস অবগত হইতে পারি। এই সম্বন্ধে আমাদের স্মরণ রাখা কৰ্ত্তব্য যে, পঞ্চদশ শতাব্দীর ইউবোপীয়ান পৰ্যটকগণের মধ্যে একমাত্ৰ নিকিটিনই বামনী-রাজ্যে আগমন করেন। নিকিটন বিন্দরনগরকে এই রাজ্যের সর্বপ্ৰধান নগর বলিয়া বৰ্ণনা কবিয়াছেন। তঁহার বর্ণনায় বিন্দরের সমৃদ্ধির প্রকৃত পরিচয় পাওয়া যায় । তিনি বলিয়াছেন যে, নগরটী বহুজনাকীর্ণ ; কিন্তু, প্ৰদেশস্ত অধিবাসীরা অত্যন্ত দরিদ্র । অভিজনগণ ধনী এবং বিলাসপ্রিয়। র্তাহাদিগকে রৌপ্যনিৰ্ম্মিত খট্টায় বহন করা হয় এবং গমনাগমনকালে তঁহাদের অগ্ৰে সুসজ্জিত অশ্বারোহণে কুড়িজন অশ্বারোহী ও পশ্চাতে তিনশত অশ্বারোহী, পাঁচশত পদাতিক ও বাদ্যকারগণ গমন করে । নিকিটিন বলিয়াছেন যে, বিজয়নগরের (R)) তুবিদার রাজাক নামক আববদেশীয় বণিক ১৫৪২ খৃষ্টাব্দে পাবস্তের বাদসহ কর্তৃক বিজযনগবের নবপতিব নিকট দূতকাপে প্রেরিত হন। বিজয়নগরের বৃত্ত্বাত্ত জানিতে হইলে রজাকোব মূল্যবান বৃত্তান্ত পাঠ কবা একান্ত কৰ্ত্তব্য।