পাতা:সমসাময়িক ভারত (চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পোরসের সহিত আলেকজান্দারের বন্ধুত্ব স্থাপন ১৩১ হইয়া পোরসকে তাহার নিজ রাজ্য প্ৰদান ব্যতীত আরও অনেক জনপদের কর্তৃত্ব প্ৰদান করিলেন। এবস্তপ্রকারে আলেকজান্দার এই বীরপুরুষের সহিত রাজার ন্যায় ব্যবহার করিলেন এবং তজ্জন্য ভবিষ্যতে ইহার নিকট হইতে বিশ্বস্ত ও অনুরক্তের ন্যায় ব্যবহার পাইয়াছিলেন। পোরসের সহিত আলেকজান্দারের যুদ্ধে এই ফল হইয়াছিল। যখন হিগিমন এথেন্সের আর্কন (১) ছিলেন তখনই এই যুদ্ধ ঘটে। আলেকজান্দার যুদ্ধক্ষেত্রে এবং যে স্থানে তিনি হাইড্যাসপিস উত্তীর্ণ হইয়াছিলেন, তথায় দুইটী নগর প্রতিষ্ঠা করিলেন। ভারতীয়দিগের সহিত যুদ্ধ-জয়ের চিহ্ন স্বরূপ তিনি প্রথমোক্তটাকে নিকাইয়া (২) ও তঁহার প্রিয় অশ্ব বৌকেফালাসের স্মৃতি চিহ্ন স্বরূপ শেষোক্তটাকে বৌকেফালা (৩) নামে অভিহিত করিলেন। এই অশ্ব যুদ্ধে আহত হয় নাই, বাৰ্দ্ধক্য ও পরিশ্রমে ইহার মৃত্যু ঘটিয়াছিল। এই অশ্ব অন্য সকল আরোহীকে ঘৃণা করিত বলিয়া আলেকজান্দার ব্যতীত অন্য কেহই এই অশ্বপৃষ্ঠে আরূঢ় হন নাই। ইহা আকারে অসাধারণ ছিল এবং ইহার স্বভাবও অত্যন্ত উত্তম ছিল । ইহার শরীরে ষণ্ডের মস্তক অঙ্কিত ছিল এবং কেহ কেহ বলেন যে এই জন্যই ইহার এইরূপ নামকরণ হইয়াছিল। অপর সকলে বলেন যে, এই অশ্ব কৃষ্ণবর্ণের হইলেও ইহার কপোল দেশে ষণ্ডের ন্যায় চিহ্ন ছিল। এই অশ্ব ওস্কিয়ানদের দেশে হারাইয়া গেলে আলেকজান্দার ঘোষণা করেন যে, অশ্ব তাহার নিকট আনীত না হইলে, তিনি hy ( ১ ) সর্বপ্রধান শাসনকৰ্ত্ত । (২) সম্ভবতঃ কারীক্ষেত্রের দক্ষিণস্থ সুখচৈনপুর গ্রাম। (৩) সম্ভবতঃ বৰ্ত্তমান বিলাম্।