পাতা:সমসাময়িক ভারত (চতুর্থ খণ্ড).pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

lejo পারে বলিয়া আমরা মনে করি, পোরস তদপেক্ষা অধিক দীর্ঘ ছিলেন ; বিশেষতঃ তিনি যে হস্তিপৃষ্ঠে আরূঢ় ছিলেন, উহা অন্য হস্তী অপেক্ষা বৃহদাকারের হওয়াতে পোরসের আকৃতি বৃহত্তর দেখাইতেছিল। এই জন্য আলেকজান্দার, পোরস ও ভারতীয় সৈন্য পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া নিকটবৰ্ত্তী ব্যক্তিদিগকে বলিলেন,-অবশেষে আমার সাহসের উপযোগী বিপদের সম্মুখীন হইয়াছি ; একাধারে বন্যপশু ও অসমসাহসী ব্যক্তির সহিত এক্ষণে যুদ্ধ করিতে হইবে।” তিনি কিরূপে যুদ্ধ করিয়াছিলেন, গ্ৰীক লেখকগণ তাহার বিবরণ লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী আত্মবাহিনীর সন্মুখভাগে সগৰ্ব্বে হস্তিপৃষ্ঠে আরূঢ় হইয়া, আক্রমণের অপেক্ষা করিতেছিলেন। মহাবীর আলোকজান্দার তঁহার সমবয়স্ক আটালাস নামক সৈনিককে রাজপরিচ্ছদে সুসজ্জিত করিয়া, শক্রকে ছলনা করিবার উপায় উদ্ভাবনে কৃতকাৰ্য্য হইয়া, কূটযুদ্ধের ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। “বৃহদাকারের পশুসমূহ এবং পোরসকে দেখিয়া মাসিদোনীয়গণ কিছুক্ষণের জন্য আক্রমণে বিরত হইয়াছিল।” সমস্ত দিনব্যাপী জয়-পরাজয়, সমস্ত দিনব্যাপী আক্রমণপলায়ন, সমস্ত দিনব্যাপী আশা-নিরাশার পর, সসৈন্য-পরিত্যক্ত আহত পোরস সকলের লক্ষ্যীভূত হইয়াও, যতক্ষণ সংজ্ঞালুপ্ত না হইয়াছিলেন ততক্ষণ একাকী যুদ্ধ করিয়াছিলেন। এই যুদ্ধে কোন পক্ষ অধিক বীরত্বের পরিচয় প্ৰদান করিয়াছিল, গ্ৰীক লেখকগণের পক্ষে তাহা অসঙ্কোচে লিপিবদ্ধ করিবার উপায় ছিল না। সুতরাং তঁহাদের রচনায় আলেকজান্দার মহাবীর বলিয়াই বর্ণিত হইয়াছিলেন। তৎকালের ভারতবর্ষের অধিবাসিগণ এরূপ কূটযুদ্ধের বা এরূপ বীরত্ব-প্রকাশের প্রশংসা করিতে পারিতেন না। আলেকজান্দার যখন মৰ্ম্মাহত রণনির্জিত মুমূর্ষু পোরসকে