পাতা:সমসাময়িক ভারত (চতুর্থ খণ্ড).pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هلال সমালোচিত হইয়া থাকে। ঘটনাচক্ৰে যাহারা বিজিত হইতে বাধ্য হইয়া পড়ে, তাহদের পক্ষে ইতিহাসের যথাযোগ্য আলোচনায় হস্তক্ষেপ করিবার অপরিমান স্বাধীনতা সঙ্কুচিত হইয়া যায়। তথাপি কেবল পরিণামের আলোচনা করিয়াও “আলেকজান্দারের অভিযানকে” ভারতবাসীর পক্ষে চিরস্মরণীয় ব্যাপার বলিয়া বৰ্ণনা করা যায় না। তাহা ইউরোপের পক্ষে একটি চিরস্মরণীয় ব্যাপার। ;-ইহসর্বস্ব মানবসভ্যতার পক্ষে একটি উল্লেখযোগ্য দিগ্বিজয় নিদর্শন - পররাজ্য লোলুপ। আধুনিক অভু্যুদয়-লালসার পক্ষে অনুকরণযোগ্য অমর দৃষ্টান্ত। ভারতবর্ষের পুরাতন ইতিহাসের আলোচনায় “আলেকজান্দারের অভিযান” ক্রমেই অধিক স্থান অধিকার করিতেছে। অনেক বিষয়ে তাহার সহিত ঐতিহাসিক মূল্যের যথার্থ অনুপাত রক্ষিত হইতেছে বলিয়া স্বীকার করিতে সাহস হয় না। এই অভিযানের যে সকল বিবরণ পরবত্তী কালের রচনালালিত্যের ভিতর দিয়া প্রবাহিত হইয়া আসিয়াছে, তাহার উপর নির্ভর না করিয়া, তাহার সাহায্যে, তথ্যানুসন্ধানে প্ৰবৃত্ত হওয়াই কৰ্ত্তব্য। তাহাতে অগ্রসর হইলে, দুই শ্রেণীর ঐতিহাসিক বিষয়ের তথ্যানুসন্ধানের প্রয়োজন অনুভূত হয়। আলেকজান্দারের অভিযানের পথ ও প্ৰকৃতি কিরূপ ছিল, তৎকালের ভারতবর্ষের প্রকৃত অবস্থাই বা কিরূপ ছিল,-এই দুইটি বিষয়ে এই সকল পুরাতন গ্ৰন্থ কিরূপ পরিচয় প্রদান করিতে পারে, তাহাঁই অধ্যয়নের প্রকৃত বিষয় বলিয়া প্ৰতিভাত হয়। “আলেকজান্দারের অভিযান” পাঠ করিলে, পাঠক দেখিবেন,-প্ৰথমটি ও দ্বিতীয়টি তুল্যরূপেই সংশয়পূর্ণ। অনেক দিনের অনেক চেষ্টায় অভিযান-পথটি এখনও সুনির্দিষ্ট হইতে পারে নাই। মানচিত্র ছিল না, দিগদৰ্শন যন্ত্র ছিল না,