প্ৰাচীন ভারত والا(یا না করিয়া দূর হইতে ক্ষুদ্র বর্শা নিক্ষেপ করিল ; কিন্তু, প্ৰতিপক্ষ সামান্য মাত্র বক্ৰ ভাবাপন্ন হইলে ইহা তাহাকে স্পর্শ করিল না এবং বিপক্ষ দক্ষিণ হস্তে দীর্ঘবৰ্শ গ্ৰহণ করিবার পূর্বেই হোরেটাসকে আক্রমণ করিয়া গদাদ্বারা তাহার দীর্ঘ বর্শা। দুইভাগে বিভক্ত করিল। এবহুপ্রকারে হোরেটাস তাহার দুইখানি অস্ত্ৰচু্যত হইয়া তরবারী নিষ্কাশণে উদ্যোগী হইল। কিন্তু তৎপূর্বেই ডিওক্সিপাস বিপক্ষকে পদস্বালন করাইয়া ভূমিতে নিপতিত করিল। পরে সে হোরেটাসের হস্ত হইতে তরবারী কাড়িয়া লইয়া ভূপতিত শক্রর গলদেশে পাদদেশ স্থাপন করিয়া গদাঘাতে তাহার মুণ্ড চুৰ্ণ করিতে উদ্যত হইলে আলেকজান্দার তাহাকে প্ৰতিনিবৃত্ত করিলেন। এই দ্বন্দযুদ্ধের ফলাফল কেবল মাসিদোনিয়গণের নিকটে নহে, আলেকজান্দারের নিকটও অগ্ৰীতিকর হইয়াছিল। তিনি বিরক্তির সহিত দেখিলেন যে মাসিদোনিয়গণের গৰ্ব্বপূর্ণ বীরত্ব বর্বরদর্শকগণ ঘূণার চক্ষে দেখিতেছিল। ইহাতে ডিওঙ্কিপাসকে যে সকল ব্যক্তি ঈর্ষা করিত, আলেকজান্দার সহজেই তাহদের বাক্যে প্ৰত্যয়স্থাপন করিলেন। সুতরাং উপরিউক্ত ঘটনার কয়েকদিবস পরবর্তী এক ভোজে গুপ্ত ব্যবস্থামত একটী সুবর্ণের পাত্র টেবিল হইতে রাজভৃত্যগণ কর্তৃক অপসৃত হইল এবং ইহা অপহৃত হইয়াছে বলিয়া আলেকজান্দারকে ংবাদ প্ৰদত্ত হইল। অনেক সময় এরূপ ঘটে যে প্ৰকৃত দোষী অপেক্ষা মিথ্যা অপবাদগ্ৰস্ত ব্যক্তিই অধিক লজ্জিত হয়। চৌৰ্য্যাপরাধে অভিযুক্ত ডিওস্কিপাস রাজাকে এক পত্ৰ লিখিয়া নিজ তরবারী দ্বারা আত্মহত্যা করিল। আলেকজান্দার তাহার মৃত্যুতে যৎপরোনাস্তি দুঃখিত হইলেন, কারণ তিনি বুঝিলেন যে ঐ ব্যক্তি অনুতাপের জন্য আত্মহত্যা করে নাই, কেবল অবজ্ঞামিশ্রিত রোষের জন্যই
