মেগাস্থেনিস St "ছেন। সোয়ানবেক প্রথমতঃ যাষ্টিনাস হইতে স্থল বিশেষ উদ্ধৃত করিয়া বলিয়াছেন যে, যাষ্টিনাসের মতে সেমিরামিস ও আলোকজান্দার ব্যতীত অপর কেহই ভারতবর্ষে প্ৰবেশ করেন নাই। এই উক্তি হইতে স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় যে, সেলুকাসের অভিযান কদাপি আলেকজান্দারের অভিযানের সমতুল্য বলিয়া বিবেচিত হয় নাই। সোয়ানবেক পরে বলিয়াছেন যে, যদি আরিয়ান সেলুকাসের অভিযানের বৃত্তান্ত অবগত হইতেন তবে তিনি লিখিতেন না যে, যদিও মেগাস্থেনিস ভারতবর্ষের অনেক স্থান পরিদর্শন করেন নাই, তত্ৰাপি তিনি ফিলিপপুত্র আলেকজান্দারের সহগামী ব্যক্তিগণের অপেক্ষা অধিক দেখিয়াছিলেন (৩২)” গ্রন্থকার এই স্থানে, অনায়াসে, মেগাস্থেনিস ও সেলুকাসের তুলনা করিতে পারিতেন । এক্ষণে, প্লিনি তঁহার গ্রন্থে এ সম্বন্ধে যাহা লিখিয়াছেন তাহাই আলোচনা করা যাউক । আলেকজান্দার ভারতবর্ষে যে পৰ্য্যন্ত অগ্রসর হইয়াছিলেন, প্লিনি দেই স্থানের দূরত্ব ডাইওনিটস এবং (৩২) মুদ্রারাক্ষস পাঠে অবগত হওয়া যায় যে, কুসুমপুর ( পাটলিপুত্রের অন্যতম নাম) কিরাত, যবন, কাম্বোজ, পারসীক প্রভৃতি দ্বার। অৰত্নদ্ধ হইয়াছিল। এতদূষ্ট অনেকে অনুমান করেন যে, সেলুকসই এই সকল বৈদেশিক সৈন্য সহ চন্দ্ৰগুপ্তকে আক্রমণ করেন। কিন্তু, এতদুত্তরে সোয়ানবেক বলিয়াছেন যে, মুদ্রারাক্ষস খৃষ্টর মৃত্যুর অন্ততঃ সহস্ৰ বৎসর পরে রচিত হইয়াছিল। সহস্ৰ বৎসর না হোক, সেলুকসের অভিযানের যে বহু পরে প্রণীত হয়, তন্বিষয়ে কোন मgन्मछ नाच्ने ।
