পাতা:সমসাময়িক ভারত (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেগাস্থেনিস s করিলে আরও বিচিত্র মুর্কি সকল দেখিতে পাওয়া যায়। বিশেষতঃ কুবের ও কাৰ্ছি কোয়ের অনুচরগুলি এরূপভাবে বর্ণিত হইয়াছে বে, ইহাদের কল্পনার পরাকাষ্ঠা দেখান হইয়াছে। ভারতবাসীরা এইগুলিকে বর্বরজাতিসমূহ হইতে স্বতন্ত্র বলিয়া পরিগণিত করিয়াছেন, কারণ ইহারা ভারতবর্ষের সীমানার মধ্যেও বাস করে না এবং মনুষ্যের সহিতও ইহাদের কোন সম্পর্ক নাই এবং সেই জন্য গ্ৰীকগণের পক্ষে উভয়কে এক বলিয়া ভ্ৰমে পড়িবার | কোনও কারণ ছিল না । কিন্তু আৰ্য্যগণ মানব ও দেবতার মধ্যবৰ্ত্তী যে আর এক শ্রেণীর। ংখ্য জীব কল্পনা করিয়াছিলেন, তাহাদিগকে বর্বরগণের সহিত । এক মনে করা সহজ। কারণ, রাক্ষস ও অন্যান্য পিশাচগণের স্বভাব কাল্পনিক জাতিসমূহের ন্যায় ; তবে, উভয়ের মধ্যে এই মাত্র ভদ যে, ঐ জাতিসকলের এক একটীতে এক একটী দোষ আরোপিত হইয়াছে, কিন্তু রাক্ষস ও পিশাচদের মধ্যে ঐ দোষ প্রায় পূর্ণমাত্রায় আরোপিত হইয়াছে। প্রকৃত পক্ষে উভয়ের মধ্যে। এত কম পার্থক্য যে, অনেক সময় উভয়কেই অভিন্ন বলিয়া প্ৰতীতি হয়। কারণ, রাক্ষসগণ ভীষণাকারে চিত্রিত হইলেও, মনুষ্য । বলিয়া গণ্য হয়, মনুষ্য ও রাক্ষস পৃথিবীতেই বাস করে এবং উভয়েই ভারতীয় যুদ্ধে লিপ্ত থাকে এবং তজ্জন্য সাধারণ ভারতবাসীর পক্ষে রাক্ষস ও মনুষ্যের স্বভাবে কি পার্থক্য তাহ নিৰ্ণয় । করা দুরূহ। রাক্ষসদিগের মধ্যে এমন কোনও প্রকৃতি দেখা যায় না, যাহা কোন না কোন জাতিতে বিদ্যমান নাই। সুতরাং গ্রীকগণ