পাতা:সমসাময়িক ভারত (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

MADO প্রাচীন-ভারত যদিও লোক-পরম্পরায় এই সকল বৃত্তান্ত অবগত হইয়াছিলেন, (যে সকল বৃত্তান্তের কোন নিশ্চিত প্ৰমাণ নাই), তাহারা ভারতীয়“দিগের ধারণানুসারে বিভিন্ন জাতির রীতিনীতি এই প্রকারে চিত্ৰিত করিয়া যে ভ্ৰম করিয়াছিলেন, এরূপ বলা যায় না। “এই সকল জাতি সম্বন্ধে নানারূপ কিংবদন্তী যে গ্ৰীস পৰ্য্যন্ত পৌঁছিয়াছিল, তাহাতে বিন্দুমাত্র আশ্চর্য্যের বিষয় নাই। কারণ, -কাল্পনিক উপাখ্যানের সহিত কিঞ্চিৎ কবিত্ব মিশ্ৰিত করিলে, সহজেই জনসমাজে প্রচারিত হয়, এবং এই সকল বর্ণনায় কল্পনার ভাগ যত অধিক থাকে, ততই উহা অধিকতর আদরণীয় হয়। পশুগণের পরস্পরের সহিত কথোপকথন-সংক্রান্ত উপাখ্যানগুলি পৃথিবীর সর্বত্র কি প্রকারে প্রচলিত হইয়াছে, তাহা আমরা বুঝিয়া উঠিতে পারি না । ভারতবর্ষের নাম গ্রীকদিগের কর্ণগোচর হইবার পূর্বেও এই প্রকার উপাখ্যান গ্ৰীসদেশে ব্যাপ্ত হইয়াছিল। হােমরের কতকগুলি উপাখ্যান এই শ্রেণীর অন্তৰ্ভুত। আমরা আরও দেখিতে পাইতেছি যে, গ্ৰীকদিগের মহাকাব্যগুলি যতই উহাদের আদিম সরলতা হইতে দূরে গিয়াছে, ততই উপাখ্যানের আধিক্য দৃষ্ট হইয়াছে এবং পরবর্তী কালের কবিগণ উপাখ্যানগুলি আরও অধিক পরিমাণে ব্যবহার করিয়াছেন। র্যাহারা মনে করেন, যে সকল উপাখ্যানে ভারতবর্ষের নাম উল্লিখিত হইয়াছে, কেবল সেইগুলিই ভারতবর্ষ হইতে গৃহীত হইয়াছে, তাহারা নিতান্ত ভ্ৰান্ত। কারণ, কোন একটী গল্প এক স্থান হইতে অন্য স্থানে নীত হইলে -গল্পোল্লিখিত স্থানের নামও সেই স্থানে নীত হয়। একটা দৃষ্টান্তে