বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সমসাময়িক ভারত (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেগাস্থেনিস, V নানারূপ উদ্ভিদ জন্মে। শেষোক্ত দ্রব্যগুলি অযত্ন-সভূত। এতদ্ব্যতীত, জীবজন্তুর আহারোপযোগী অন্যান্য খাদ্য এত অধিক পরিামাণে উৎপন্ন হয় যে, তাহার সকলগুলির উল্লেখ করিতে হইলে পুস্তকু-পাঠ ক্লান্তিজনক হইয়া পড়িবে। এই জন্যই আমরা শুনিতে পাই যে, ভারতবর্ষে কদাচ দুৰ্ভিক্ষ হয় নাই এবং কোন কালেই বলকারক খাদ্য অপ্রতুল ছিল না। কারণ, প্রতিবৎসরে দুইবার করিয়া বর্ষা হয় বলিয়া অধিবাসীরা দুই বার করিয়া শস্তসংগ্ৰহ করে। শীতঋতুতে যে বর্ষা হয়, সেই সময় অন্যান্য দেশের ন্যায় গোধূম বপন করা হয়। গ্রীষ্মকালের শেষে তাহারা দ্বিতীয়বার ধান্য, বস্পোরাম, তিল ও জোয়ার বপন করে। এই জন্য তাহারা বৎসরে দুইবার শস্য-সংগ্রহ ও করে এবং যদিও কোন কারণে প্ৰথম বারে বপনের শস্য সন্তোষজনক না হয়, তাহা হইলেও তাহারা দ্বিতীয় বারে আশানুরূপ শস্য পায়। স্বভাবজাত ফল এবং জলাভূমিতে উৎপন্ন ও সুমিষ্ট মূলগুলিও ভারতবাসীদের জীবনধারণে প্ৰভূত পরিমাণে সাহায্য করে। প্রকৃতপক্ষে, ঐ দেশের সকল সমতলক্ষেত্ৰই নদীর অথবা গ্রীষ্মকালীন বারিপতনে সিক্ত। আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, এই শেষোক্ত বারিপতন প্রতিবৎসর ঠিক একই সময়ে হয়। পক্ষান্তরে, প্রখর উত্তাপ হেতু জলাভূমিজাত মূলও, বিশেষতঃ দীর্ঘাকারের নলগুলি, যথাসময়ে সুপক হয়। আরও, তাহারা এরূপ কতকগুলি প্ৰথাবলম্বন করে, যাহাতে তাহাদের দেশে দুভিক্ষ হইতে পারে না। কারণ, অন্যান্য জাতি