পাতা:সমসাময়িক ভারত (প্রথম খণ্ড).pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R সমসাময়িক-ভারত সকল বৃত্তান্ত সংগ্ৰহ করিয়া, ক্ৰমে ক্ৰমে ছয় খণ্ডে প্ৰকাশ করিয়াছেন। মেগন্থেনিস (১) নামক প্রথিতনামা পাশ্চাত্য-প্ৰদেশীয় দূত, তৎকালীন রাজচক্ৰবৰ্ত্তী চন্দ্রগুপ্তের রাজ-দরবারে থাকিয়া, ভারতবর্ষের যে আলেখ্য চিত্ৰিত করিয়াছিলেন, সেই আলেখ্য এবং আরিয়ান নামক অন্যতমগ্ৰন্থকার যে বৃত্তান্ত লিপিবদ্ধ করিয়াছিলেন, তাহাই প্ৰথম খণ্ডে স্থান দিয়াছেন। দ্বিতীয় খণ্ডে, তিনি “ইরিথ্রিয়ান সাগরের” (২) বাণিজ্যকবিবরণ এবং উল্লিখিত আরিয়ানের শেষাংশ গ্রথিত করিয়াছেন। তৃতীয় খণ্ডে, ম্যাক্রিণ্ডল টিসিয়াস (৩) বর্ণিত ভারতবর্ষের প্রাচীন (১) সিরিয়া-রাজ সেলুকাস কর্তৃক প্রেরিত দূত। ইনি অনেকদিন মগধ-রাজ চন্দ্রগুপ্তের দরবারে বাস করিয়া অনেক বৃত্তাস্ত সংগ্রহ পূর্বক ("Indica" } ইণ্ডিকা নামে এক মূল্যবান পুস্তক প্রণয়ন করিয়াছিলেন। মেগাস্থেনিসের বর্ণনাপাঠে তৎকালীন ভারতের সুন্দর চিত্র পাওয়া যায় । ‘নিবেদনে অনেক স্থলে, মেগাস্থেনিসের বৃত্তাস্তের উল্লেখ করা হইয়াছে। আমরা শীঘ্রই মেগন্থেনিসের “ইণ্ডিকা"র বঙ্গানুবাদ পাঠকবর্গের সম্মুখে উপস্থিত করিব। (২) যখন মিসরদেশ রোমকগণের অধিকার-ভুক্ত ছিল, তখন ভারতবর্ষের সহিত মিসরের ঘনিষ্ট বাণিজ্য-সম্পর্ক ছিল। প্ৰাচীন গ্ৰীক ও রোমকগণ আফ্রিকার উপকূল হইতে পূৰ্বাঞ্চলের সমুদ্রের যতখানি জ্ঞাত ছিলেন, উহাকে "Erythraean Sea” বা ইরিথিয়ান সাগর নামে অভিহিত করিতেন। সম্ভবতঃ, প্ৰাচীন গ্ৰীকেরা লোহিতসাগরস্থ প্ৰাণালীগুলিকে Erythra (ইরিথা ) নামে অভিহিত করিতেন বলিয়াই, সমুদ্রকে ঐ রূপ আখ্যা প্ৰদান করা হইয়াছিল। পারস্তোপসাগরকেও এই ইরিথ্রিয়ান সাগরের অন্তর্ভূত করা হইত। "Periplus of the Erythraean Sea” o “Rffic Toto efo” to Arof প্রাচীন পুস্তকে মিসর ও পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যের সঠিক বৃত্তান্ত পাওয়া যায়। ] (৩) লিডিয়াবাসী টিসিয়াসই সৰ্বপ্রথমে ভারতবর্ষ সম্বন্ধে এক পুস্তক প্রণয়ন করেন। গ্ৰন্থখানি পাওয়া যায় না ; অংশ বিশেষ মাত্র আমাদিগের হস্তগত श्छ्रेग्नांछ् ।