পাতা:সমসাময়িক ভারত (প্রথম খণ্ড).pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎼᎨ8 ट्धांौन्-ङांब्रऊ তাহারা আরও দুইটী তোরণ দেখিতে পাইলেন-একটির উপর পোরসের মূৰ্ত্তি, অন্যটার উপরে আলেকজান্দারের মূৰ্ত্তি। হাইফাসিস নদী তীরে আলেকজান্দার যে পীঠস্থাপনা করেন, তথায় তাহারা গমন করেন। এই স্থানে একটী পিত্তল নিৰ্ম্মিত স্তম্ভে লেখা আছে যে, “আলেকজান্দার এই স্থানে অপেক্ষা করিয়াছিলেন।” দামিস হাইফাসিস নদী সম্বন্ধে অদ্ভুত বর্ণনা করিয়াছেন। হাইফাসিস নদীতে তৈল প্ৰদানকারী বৃহৎ কীট এবং ময়ুর নামক এক মৎস্য পাওয়া যায়, লিখিয়া য়াছেন। ঐ তৈল অত্যন্ত দহনীয় ; উক্ত মৎস্তের পুচ্ছ সুবর্ণবৰ্ণ ; পুচ্ছ পাখার ন্যায় উন্মুক্ত করা যায়। নদী-তীরবর্তী বৃক্ষে বর ও কনের গাত্রে ব্যবহারোপযোগী । প্ৰলেপ পাওয়া যায়। এই প্রলেপ মর্দন করিলে ভিনাস দম্পতির শুভ বিবাহে কল্যাণ কামনা করেন। নিকটবৰ্ত্তী জলাভূমিতে-প্ৰাপ্ত গর্দভের শৃঙ্গে পাত্ৰ নিৰ্ম্মিত হয়। এই পাত্রের ঐন্দ্ৰজালিক গুণ আছে। এই স্থানে পৰ্য্যটকগণ ককেসাস পৰ্ব্বতের শাখায় উত্তীর্ণ হন। শৃঙ্গদেশে নানা প্রকার সুগন্ধি লতা, দারুচিনির বৃক্ষ এবং গুহামধ্যে মরিচ বৃক্ষ জন্মিয় ছিল। ভ্ৰমণকারীগণ বলিয়াছেন যে, পর্বতচারী বানরগণ ভারতবর্ষীয়দিগের জন্য মরিচ সংগ্ৰহ করিত এবং সেই জন্য মরিচের অধিক মূল্য ছিল। পৰ্ব্বতের শীর্ষ দেশে উপস্থিত হইয়া ভ্ৰমণকারীগণ বৃহৎ ও উর্বর সমতল ক্ষেত্ৰ দেখিতে পাইলেন। এই সমতল ক্ষেত্রের চতুর্দিকেই গঙ্গা হইতে গঙ্গার খাল প্ৰবাহিত হইত। এই স্থান হইতে গঙ্গা পঞ্চদশ দিবসের পথ এবং লোহিতসাগর অষ্টাদশ দিবসের পথ। পৰ্ব্বতের সাক্ষদেশে পারক নামক বৃহৎ নগর। অধিবাসিগণ ভারতীয় জলাভূমি, সমতল ক্ষেত্র ও পৰ্ব্বতবাসী দৈত্য শিকার করিত। দৈত্যগণ ত্ৰিশ হাত উচ্চ ছিল। অধিবাসীরা তাহদের হৃদপিণ্ড ও পিত্ত ভক্ষণ করিত বলিয়া,