বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সমাজ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

నెby সমাজ ( & ) শ্ৰীচরণেষু— দাদা মহাশয়, এবার কিছুদিন ভ্রমণে বাহির হইয়াছি। এই স্বদূরবিস্তৃত মাঠ এই অশোকের ছায়ায় বসিয়া আমাদের সেই কলিকাতা সহরকে একটা মস্ত ইটের খাচী বলিয়া মনে হইতেছে। শত সহস্র মানুষকে এক্‌টা বড় খাচায় পূরিয়া কে যেন হাটে বিক্রয় করিতে আনিয়াছে। স্বভাবের গীত ভুলিয়া সকলেই কিচিকিচি ও খোঁচাখুচি করিয়া মরিতেছে। আমি সেই খাচা ছাড়িয়া উড়িয়াছি, আমি হাটে বিকাইতে চাহি না । গাছপালা নহিলে আমিত বাচি না—আমি ষোল আন vegetarian । আমি কায়মনে উদ্ভিদ সেবন করিয়া থাকি। ইট কাঠ চুণ মুরকি মৃত্যু-ভাবের মত আমাব উপর চাপিয়া থাকে। হৃদয় পলে পলে মরিতে থাকে। বড় বড় ইমাবৎগুলো তাহদের শক্ত শক্ত কড়ি বরগ মেলিয়া ই করিয়া আমাকে গিলিয়া ফেলে। প্রকাও কতিকাতাটার কঠিন জঠরের মধ্যে আমি যেন একবারে হজম হইয়া যাই । কিন্তু এখানে এই গাছপালাব মধ্যে প্রাণের হিল্লোল। হৃদয়ের মধ্যে 'যেখানে জীবনেব সরোবর আছে, প্রকৃতির চারিদিক হইতে সেখানে জীবনের স্রোত আসিয়া মিশিতে থাকে । বঙ্গদেশ এখান হইতে কত শত ক্রোশ দূরে । কিন্তু এখান হইতে বঙ্গভূমির এক নূতন মূৰ্ত্তি দেখিতে পাইতেছি। যখন বঙ্গদেশের ভিতরে বাস করিতাম, তখন বঙ্গদেশের জন্ত বড় আশা হইত না । তখন মনে হইত বঙ্গদেশ গোফে তেল গাছে কাঠালের দেশ। যত-বড়-না-মুখ ততবড় কথার দেশ। পেটে পিলে, কানে কলম ও মাথায় শামলার দেশ। মনে হইত এখানে বিচি গুলাই দেখিতে দেখিতে তেরে হাত হইয়া কাঁকুড়কে অতিক্রম করিয়া উঠে। এখানে পাড়াগেয়ে ছেলেরা