বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সমাজ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Υ φίν সমাজ (v) শ্ৰীচরণেষু— তবে আর কি! তবে সমস্ত চুলায় যাক। বাংলাদেশ তাহার \ আম কঁঠালের বাগান এবং বাশঝাড়ের মধ্যে বসিয়া কেবল ঘরকল্প করিতে থাকুক। স্কুল উঠাইয়া দাও, সাপ্তাহিক এবং মাসিক সমুদয় কাগজপত্র বন্ধ কর, পৃথিবীর সকল বিষয় লইয়াই যে আন্দোলন আলোচনা পড়িয়া গিয়াছে সেটা বলপূৰ্ব্বক স্থগিত কর, ইংরাজী পড়া একেবারেই বন্ধ কর, বিজ্ঞান শিখিয়ে না, যে-সমস্ত মহাত্মা মানবজাতির জন্য আপনার জীবন উৎসর্গ করিয়াছেন তাহদের ইতিহাস পড়িয়ে না, পৃথিবীর যে-সকল মহৎ অনুষ্ঠান বাসুকির ন্যায় সহস্র শিরে মানবজাতিকে বিনাশ বিশৃঙ্খলা হইতে রক্ষা কুরিয়া অটল উন্নতির পথে ধারণ করিয়া রাখিয়াছে তাহাদের সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অজ্ঞ হইয়া থাক। অর্থাৎ যাহাতে করিয়া হৃদয় জাগ্রত হয়, মনে উদ্যমের সঞ্চার হয়, বিশ্বের সঙ্গে মিলিয়া একত্রে কাজ করিবার জন্ত অনিবাৰ্য্য আবেগ উপস্থিত হয়—সেসমস্ত হইতে দূরে থাক। পড়িবার মধ্যে নূতন পঞ্জিকা পড়, কোন দিন বাৰ্ত্তাকু নিষেধ ও কোন দিন কুষ্মাণ্ড বিধি তাহা লইয়া প্রতিদিন সমালোচনা কর । দালান, ডাবাহক, নন্ত ও নিনা লইয়া এই রৌদ্রতাপদগ্ধ নিদাঘ-মধ্যাহ্ন অতিবাহিত কর। সন্তানদের মাথার মধ্যে চাণক্যের শ্লোক প্রবেশ করাইয়া সেই মাথাগুলো ইহকাল ও পরকালের মত ভক্ষণের যোগাড় করিয়া রাখ । দাদা মহাশয়, তুমি কি সত্য সত্যই বলিতেছ, আমরা একশত বৎসর পূৰ্ব্বে যেরূপ ছিলাম, অবিকল সেইরূপ থাকাই ভাল, আর কিছুমাত্র উন্নতি হইয়া কাজ নাই। জ্ঞান লাভ করিয়া কাজ নাই, পাছে প্রবল জ্ঞানলালসা জন্মিয়া আমাদের দুৰ্ব্বল দেহকে জীর্ণ করিয়া ফেলে ! লোকহিতপ্ৰবৰ্ত্তক উন্নত উপদেশ শুনিয়া কাজ নাই পাছে মানব