পাতা:সমাজ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র o S > কেছ মরে কেহ বাচে—তাহাতে আপত্তি কি ? নিরুদ্যমই প্রকৃত মৃত্যু। আমরা, না হয় বাচিব, না হয় মরিব—তাই বলিয়া কাজকৰ্ম্ম ছাড়িয়া দিয়া দাদা মশায়ের কোলের কাছে বসিয়া সমস্ত দিন উপকথা শুনিতে পারিব না । তোমার কি ভয় হয় পাছে তোমার বংশে বাতি দিবার কেহ না থাকে ! জিজ্ঞাসা করি, এখনই বা কে বাতি দিতেছে ? সমস্তই যে অন্ধকার ! বিদায় লইলাম দাদা মহাশয়! আমাদের আর চিঠিপত্র চলিবে না। আমাদের কাজ করিবার বয়স। সংসারে কাজের বাধা যথেষ্ট মাছে—পদে পদে বিঘ্নবিপত্তি, তাহার পরে বুড়োমানুষদের কাছ হইতে যদি নৈরাপ্ত সঞ্চয় করিতে হয় তাহা হইলে যৌবন ফুরাইবার আগেই বৃদ্ধ হইতে হইবে। তাহ হইলে পঞ্চাশে পৌছবার পূৰ্ব্বেই অরণ্যাশ্রম গ্রহণ করিতে হইবে । সম্মুখে আমাকে আহবান করিতেছে, আমি তোমার দিকে ফিরিয়া চাহিব না। তুমি বলিতেছ পথের মধ্যে খানা আছে ডোবা আছে সেইখানে পড়িয়া তুমি ঘাড় ভাঙিয়া মরিবে, অতএব ঘ:র দাওয়ায় মাছর পাতিয়া বসিয়া থাকাই ভাল—আমি তোমার কথায় বিশ্বাস করি না। আমি দুৰ্ব্বল সত্য, কিন্তু তোমার উপrা আমি ত বল পাইতেছি না, আমার ব্ৰতপালনের পক্ষে আমি হীন , বটে, কিন্তু তোমার উপদেশে আমি ত বুদ্ধি পাইতেছি না, অতএব আমার যেটুকু বল যেটুকু বুদ্ধি আছে, তাহাই সহায় করিয়া চলিলাম, মরিতে হয় ত চিরজীবনসমুদ্রে ঝাপ দিয়া মরিব । \. সেবক শ্ৰীনবীনকিশোর শম্মণ: |