নকলের নাকাল \ףס আশা কবিতেছি এই সেণ্টিমেন্টের কিঞ্চিৎ আভাস আছে বলিয়াই বিলাতী বেশধারিগণ অত্যন্ত অসঙ্গত হইলেও তাছাদের অৰ্দ্ধাঙ্গিনীদের সাডি রক্ষা কবিয়াছেন । পুরুষের কৰ্ম্মক্ষেত্রে কাজেব সুবিধাব জন্য ভাবগৌরবকে বলিদান দিতে অনেকে কুষ্ঠিত হন না । কিন্তু স্ত্রীগণ যেখানে আছেন সেখানে সৌন্দৰ্য্য এবং ভাবুকতার বহুরূপী কৰ্ম্ম আজিও আসিয়া প্রবেশ করে নাই। সেইখানে একটু ভাবরক্ষার জায়গা বহিয়াছে, সেখানে আর ক্ষীতোদর গাউন আসিয়া হামাদেৰ দেশীয় ভাবের শেষ লক্ষ্যটুকু গ্রাস করিয়া যায় নাই । সাহেবিয়ানাকেই যদি চরম গৌরবের বিষয় বলিয়া জ্ঞান করি, তাহা হইলে, স্ত্রীকে বিবি না সাজাইলে সে গৌরব অৰ্দ্ধেক অসম্পূর্ণ থাকে। তাহ যখন সাজাই নাই তখন সাড়িপর স্ত্রীকে বামে বসাইয়া এ-কথা প্রকাশু্যে কবুল কবিতেছি যে, আমি যাহা করিয়াছি তাহ! সুবিধার খাতিরে ;–দেখ, ভাবেব খাতির বক্ষা করিয়াছি, আমার ঘবের মধ্যে, আমাৰ স্ত্রীগণের পবিত্র দেহে । কিন্তু আমরা আশঙ্কা করিতেছি ইহাদের অনেকেই এই প্রসঙ্গে একটা অত্যন্ত নিষ্ঠুর কথা বলবেন। বলিবেন, পুরুষের উপযোগী জাতীয় পরিচ্ছদ তোমাদের কাছে কোথায়, যে আমরা পরিব ? ইহাকেই বলে আঘাতের উপর অবমাননা । একেত পরিবার বেলা ইচ্ছামুখেই বিলাতী কাপড় পরিলেন তাহার পর বলিবার বেলা মুর ধরিলেন যে তোমাদের কোনো কাপড় ছিল না বলিয়াই আমাদিগকে এ-বেশ ধরিতে হইয়াছে । আমরা পরের কাপড় পরিয়াছি বটে কিন্তু তোমাদের কোনো কাপড়ই নাই—সে আরো খারাপ ! বাঙালী-সাহেবের ব্যঙ্গসুরে অবজ্ঞা করিয়া বলেন, তোমাদের জাতীয় পরিচ্ছদ পরিতে গেলে পায়ে চট, ইঁটুর উপরে ধুতি এবং
পাতা:সমাজ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৩
অবয়ব