পাতা:সমাজ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wöby সমাজ কঁধের উপরে একখানা চাদর পরিতে হয়। সে আমরা কিছুতেই পারিব না। শুনিয়া ক্ষোভে নিরুত্তর হইয়া থাকি । যদিও কাপড়ের উপর মানুষ নির্ভর করে না, মানুষের উপর কাপড় নির্ভর করে এবং সে হিসাবে মোট ধুতিচাদর লেশমাত্র লজ্জাকর নহে। বিদ্যাসাগর,—একাবিদ্যাসাগর নহেন—আমাদের বহুসংখ্যক মোট চাদরধারী ব্রাহ্মণপণ্ডিতদের সহিত গৌরবে গাম্ভীর্য্যে কোর্ভাগ্রস্ত কোনো বিলাতফেরতই তুলনীয় হইতে পারেন না। যে ব্রাহ্মণের এককালে ভারতবর্ষকে সভ্যতার উচ্চ শিখরে উত্তীর্ণ করিয়াছিলেন র্তাগুণদের বসনের একান্ত বিরলতা জগদ্বিখ্যাত। কিন্তু সে-সকল তক তুলিতে চাহি না । কারণ, সময়ের পরিবর্তন হইয়াছে, এবং সেক্ট পরিবর্তনের একেবারে বিপরীত মুখে চলিতে গেলে আত্মরক্ষা করা অসম্ভব হঠয় উঠে ! অতএব এ-কথা স্বীকার করিতে হইবে যে, বাংলাদেশে যে-ভাবে ধুতি চাদর পরা হয় তাহা আধুনিক কাজকৰ্ম্ম এবং আপিশ আদালতের উপযোগী নয়। কিন্তু আচ কান চাপকানের প্রতি সে দোষারোপ করা यांग्न न । і й সাহেবী বেশধারীর বলেন, ওটাতো বিদেশী সাজ । বলেন বটে, কিন্তু সে একটা জেদের তর্ক মাত্র । অর্থাৎ বিদেশী বলিয়া চাপকান তাহার পরিত্যাগ করেন নাই, সাহেব সাজিবার একটা কোনো বিশেষ প্রলোভন আছে বলিয়াই ত্যাগ করিয়াছেন। কারণ, যদি চাপকান এবং কোট ফুটোই তাহার নিকট সমান নূতন হষ্টত, যদি তাহাকে আপিশে প্রবেশ ও রেলগাড়ীতে পদার্পণ করিবার দিন দুটোর মধ্যে একটা প্রথম বাছিয়া লইতে হইত তাহ হইলে এ-সকল তর্কের উত্থাপন হইতে পারিত। চাপকান তাহার গায়েই ছিল তিনি সেটা তাহার পিতার নিকট হইতে পাইয়াছিলেন । তাহা ত্যাগ করিয়া যেদিন কালো কুৰ্ত্তির মধ্যে প্রবেশপূৰ্ব্বক গলায়