পাতা:সমাজ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচ্য ও প্রতীচ্য 86t ভিখারী রাঘবে?” হায়, আমরা ইংরাজশাসিত বাঙালিরাও সেক্টভাবেই বলচি, “নাহি কি বল এ ভুজমৃণালে ?” এই ত অবস্থা । কিন্তু ইতিমধ্যে যখন হংলণ্ডে আমাদের স্ত্রীলোকদের দুরবস্তাব উল্লেখ কবে মুষলধারায় অশ্রুবর্ষণ হয় তখন এতটা অজস্র ককণা বৃথা নষ্ট হচ্চে বলে মনে অত্যন্ত আক্ষেপ উপস্থিত হয । ইরাজের মুল্লুকে আমরা অনেক আইন এবং অনেক আদালত পেয়েছি । দেশে যত চোব আছে পাহাবাওয়ালাব সংখ্যা তার চেযে ঢেব বেশি । মুনিয়ম সুশৃঙ্খলা সম্বন্ধে কথাটি কবার যে নেই | ই-বাজ আমাদেব সমস্ত দেশটিকে ঝেডে ঝুড়ে ধুযেনি-ড়ে ভাজ করে পাট কবে ইস্কি কবে নিজেব বাক্সব মধ্যে পূবে তাব উপৰ জগদ্দল যে চেপে বসে আছে । আমরা ইংবাজেব সতকতা, সচেষ্টতা, প্রখব বুদ্ধি, সুশৃঙ্খল কৰ্ম্মপটুতাব অনেক পবিচয় পেযে থাকি, যদি কোনো কিছুব অভাব অনুভব কবি তবে সে এই স্বগীয কবণার, নিরুপায়েব প্রতি ক্ষমতাশালীব অবজ্ঞাবিহীন অনুকুল প্রসন্নভাবেব। আমবা উপকাব অনেক পাই, কিন্তু দয়া কিছুই পাইনে। অতএব গন এই লভ কৰুণাব অস্তনে অপব্যয দেখি তখন ক্ষোভেব আব সীমা থাকে না । আমরা ত দেখতে পাই আমাদেব দেশেব মেয়েরা তাদেব মুগোল কোমল ছটি বাহুতে দু’গাছি বালা পবে” সি থৈব মাঝখানটিতে সি কুরের রেখা কেটে সদাপ্রসন্নমুপে স্নেহ প্রেম কল্যাণে আমাদেব গৃহ মধুব কবে বেথেছেন । কখনো কখনো অভিমানেব অঞজলে তাদেব নয়নপল্লব আর্দ্র হয়ে আসে, কখনো বা ভালবাসাব গুরুতব অত্যাচাবে র্তাদের সরল সুন্দব মুখশ্ৰী ধৈর্য্যগম্ভীর সকরুণ বিষাদে স্নানকান্তি ধারণ করে , কিন্তু বৰ্মণীর অদৃষ্টক্রমে দুৰ্ব্বত্ত স্বামী এবং অকৃতজ্ঞ সন্তান পুথিবীর সর্বত্রই আছে , বিশ্বস্তস্থত্রে অবগত হওয়া যায ই•লণ্ডেও তার অভাব নেই। যা হোক, আমাদেব গৃহলক্ষ্মীদেব নিষে আমবা