পাতা:সমাজ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চিঠিপত্র
৭১

আমি ঠিক করিয়া দিলাম কোন তিথিতে মূলা খাইলে তাহার নরক এবং চিঁড়া খাইলে তাহার অক্ষয় ফল। তোমার মূলা ছাড়িয়া চিঁডা খাইয়া তাহার কি উপকার হইল তাহার কোনো প্রমাণ নাই কিন্তু যাহা অপকার হইল ইতিহাসে তাহা উত্তরোত্তর পুঞ্জীকৃত হইয়া

 ১৩০৫।


চিঠিপত্র

(১)

চিরঞ্জীবেষু—

ভায়া নবীনকিশোব, এখনকার আদবকায়দা আমার ভাল জানা নাই —সেই জন্য তোমাদের সঙ্গে প্রথম আলাপ, বা চিঠিপত্র আবম্ভ করিতে কেমন ভয় করে। আমরা প্রথম আলাপে বাপের নাম জিজ্ঞাসা করিতাম কিন্তু শুনিয়াছি এখনকার কালে বাপের নাম জিজ্ঞাসা দস্তুর নয়। সৌভাগ্যক্রমে তোমার বাবার নাম আমার অবিদিত নাই, কারণ আমিই তাঁহার নামকরণ করিয়াছিলাম। ভাল নাম দিতে পারি নাই—গোবর্দ্ধন নামটা কেন দিয়াছিলাম তাহা আজ বুঝিতেছি। তোমাকে বর্দ্ধন করিবার ভার তাঁহার উপরে পড়িবে ভাগ্য-দেবতা তাহা জানিতেন। সেই জন্যই বোধ করি সেদিন ন্যায়রত্ন মহাশয় তোমাকে তোমার ঠাকুরের নাম জিজ্ঞাসা করাতে তোমার মুখ লাল হইয়া ছিল। তা তুমিই না হয় তোমার বাবার নূতন নামকরণ কর আমার গোবর্দ্ধন নাম আমি ফিরাইয়া লইতেছি।